
ছবিঃ সংগৃহীত
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরছাড়া করার ভয়াবহ ঘটনাকে ‘নাকবা’ বলা হয়। জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি জানিয়েছে, বিশ্ব হয়তো ফিলিস্তিনে আরেকটি ‘নাকবা’ ঘটতে দেখছে। এই কমিটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল এখন ফিলিস্তিনিদের জোর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে এবং অমানবিক কষ্ট দিচ্ছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকার উত্তর অংশ থেকে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিকে বের করে দিয়ে দক্ষিণে কিছু শিবিরে রাখবে। জাতিসংঘ বলেছে, এই পদক্ষেপ ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’র পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এই দমন-পীড়নের আড়ালে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করছে, ঘরবাড়ি ভেঙে দিচ্ছে, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বাস্তুচ্যুত করছে যাতে জায়গাগুলোতে ইহুদি বসতি তৈরি করা যায়।
তারা আরও বলেছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী আটক ফিলিস্তিনিদের উপর নিয়মিত নির্যাতন চালায়। এই নির্যাতনের মধ্যে শারীরিক নিগ্রহ, যৌন নির্যাতন ও ভয় দেখানোও আছে। এ কমিটির ভাষ্য, গাজায় এমন এক বাস্তবতা চলছে, যেখানে খাবারের ট্রাক কাছেই দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু জনগণ না খেয়ে মরছে। এটা নিছক মানবিক ব্যর্থতা নয়, বরং এক নির্মম বাস্তবতা।
১৯৪৮ সালের নাকবার সময় প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি ঘর ছাড়া হয়েছিল। আজকের এই পরিস্থিতি তাদের সেই দুঃসহ স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছে বলে মনে করছেন জাতিসংঘ।
সূত্রঃ আল-জাজিরা ও নিউজ এজেন্সী
আরশি