ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের দিনের কিছু টিপস

নাজনীন আরা রনি

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৩ জুন ২০২৫

ঈদের দিনের কিছু টিপস

কোরবানি ঈদ মানেই ঘরের কাজের ব্যস্ততার শেষ নেই

কোরবানি ঈদ মানেই ঘরের কাজের ব্যস্ততার শেষ নেই। সেই ভোরে উঠেই রান্নার কাজে ব্যস্ততা শুরু হয়। কোরবানির পর সেই মাংস কাটা, ধোয়া, রান্না, প্যাকেজিং করা, বিলানো, ঘর-হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কার ইত্যাদি কাজের ব্যস্ততা। যেন দম নেওয়ারও ফুরসত নেই। এত ব্যস্ততার মাঝে ঘটে যেতে পারে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা। তাই কিছু বিষয় আগে থেকেই গুছিয়ে নিন। এতে আপনি নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কাজ সারতে পারবেন।
১. ঈদের অন্তত ৩/৪ দিন আগেই ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
২. মাংস প্যাকেট করার ব্যাগ আগে থেকে গুছিয়ে রাখুন।
৩. কাদের মাংস দেবেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। ছোট কাগজে নাম লিখে লেবেল তৈরি করে রাখুন। প্যাকেটের মধ্যে সেসব নামের কাগজটি রেখে দিলে কোনটা কার প্যাকেট বুঝতে সমস্যা হবে না।
৪. যেসব মসলা আগে প্রস্তুত করে রাখা যায় সেগুলো তৈরি করে আলাদা বাক্সে বা কৌটায় সংরক্ষণ করুন।
৫. রান্নার তৈজসপত্র যেমন হাঁড়ি, সসপেন, বোল ইত্যাদি যা যা লাগবে ঈদের আগের দিন তা ধুয়ে রাখুন।
৬. রান্নাঘরের যেখানে কাটাকাটি ও বাটাবাটি করবেন, ওই জায়গাটা ধুয়ে মুছে শুকনা রাখুন। নয়তো অসাবধানতার কারণে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৭. রান্নাঘরে সমস্ত মসলা, তৈজসপত্র ও রান্নার কাজে ব্যবহার হবে এসব জিনিস হাতের কাছেই গুছিয়ে নিন। তা হলে রান্নার সময় সেগুলো খুঁজে অহেতুক সময় নষ্ট হবে না।
৮. দুপুরের পর ঘরের মেয়েদের একদিকে রান্না, অন্য দিকে মাংস গোছানো ও ভাগ-বাটোয়ার কাজ করতে হয়। এই সময় একটু অসাবধান হলে চুলার রান্না পুড়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই মৃদু আঁচে রান্না করুন।
৯. রান্নার কাজে সেসব হাঁড়ি ব্যবহার করুন যেগুলোর তলানিতে সহজেই মাংস লেগে যায় না।
১০. হঠাৎ তলানিতে মাংস লেগে গেলে হাঁড়ি বদলে দিন।
১১. প্রথম মাংসখানি একবারে সব মসলা পরিমাণ মতো দিয়ে মাখিয়ে বসিয়ে দিন। 
তা হলে সময় বাঁচবে। আর মাংস দিয়ে বিশেষ রান্নাগুলো একটু ফ্রি হয়ে সন্ধ্যার পর অথবা রাতে করতে পারেন। তাতে মনোযোগ দিতে পারবেন, রান্নাতেও সঠিক স্বাদ বজায় থাকবে।
১২. ঈদের দিন সবচেয়ে ঝামেলার বিষয় হলো গরুর ভূড়ি নেওয়া। ভুঁড়ি পরিষ্কারে গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে স্বাদ বজায় থাকে।
১৩. হাতের কাছে স্যাভলন, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি রেখে দিন। হঠাৎ কারও হাত কেটে বা পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে স্যাভলন লাগিয়ে নিন। পুড়ে গেলে পোড়া জায়গায় পেঁয়াজের রস বা টুথপেস্ট লাগিয়ে দিন।
১৪. থালাবাসন, হাঁড়ি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ও ভিম লিকুইড ব্যবহার করতে পারেন। তাতে তেল ময়লা দূর হবে।
১৫. সবশেষে ক্লান্তির কাজ হলো রান্নাঘর পরিষ্কার করা। ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, ডেটল বা যে কোনো মেঝে পরিষ্কারের দ্রব্য দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এতে রক্ত, মাংস, ভুঁড়ি এসবের গন্ধ দূর হয়ে যাবে। 

×