টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-কসবা সড়কের কাকিনা খালের উপর নির্মিত একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দেবে গেছে। ফলে জননিরাপত্তার স্বার্থে এই সেতুর উপর দিয়ে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে করে ঈদের সময় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) মধ্যরাতে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় সেতুটি মাঝ বরাবর দেবে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর মাঝখানে দুটি পিলার দেবে গিয়ে রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সংযোগ সড়কের দু’পাশে ফাটল ধরেছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জানান, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, কাকিনা খালের উপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। তবে ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির কারণে এই মুহূর্তে সেতুটির নির্মাণ সাল বা ব্যয় নির্ধারণ করা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা ইয়ার হোসেন বলেন, “রাতে কোনো ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে হয়তো পিলার দেবে গেছে। এই সেতুর উপর দিয়েই হাজার হাজার মানুষের চলাচল। এখন সবাই দুর্ভোগে পড়েছে।”
ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া জানান, “সকালে ফজরের নামাজের পর দেখি সেতু দেবে গেছে। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে বাঁশ বেঁধে যান চলাচল বন্ধ করেছে।”
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আক্তার মিয়া বলেন, “সেতুর মাঝখান দেবে যাওয়ায় এখন ৫-৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
পথচারী মোছা. নাজমা বেগম বলেন, “ঈদের বাজার করতে অনেক দূর হেঁটে আসতে হয়েছে। নারীদের জন্য এটা খুব কষ্টকর। দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা হোক।”
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, “এই সেতু কসবা ও আখাউড়ার সংযোগ রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হবে।”
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম রাশেদুল ইসলাম জানান, “কাকিনা খালের উপর নির্মিত সেতুটি দেবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মানুষ বিকল্প হিসেবে গোয়াল গাঙ্গাইল ও ধরখার সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন।”
মিমিয়া
