
ছবি: জনকণ্ঠ
ঈদের আগের দিন ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার পশ্চিম তালদিঘি ফকিরবাড়ি ও গাছতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় গ্রামের মো. পারভেজ মিয়া (৩৫), তার ছেলে মো. হাসান মিয়া (৮), জেলার তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসুটা গ্রামের মো. মন্নাছ মিয়ার ছেলে মো. শরীফ মিয়া (২৫) এবং একই উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি (৪৫)।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে হালুয়াঘাটে নানা শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছিলেন পারভেজ। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী-সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেছিলেন।
সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার পশ্চিম তালদিঘি ফকিরবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি মসজিদে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পারভেজ ও তার ছেলে হাসান নিহত হন। এ সময় স্থানীয়রা আহত ১২ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
তিনি আরও জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে একই সময়ে উপজেলার গাছতলা এলাকায় একটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে শরীফ ও হাবিবুর রহমান হবি নিহত হন। এর মধ্যে সিএনজির চালক ছিলেন শরীফ।
শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু খান জানান, সকালে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে গাছতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালক শরীফ ও যাত্রী হাবিবুর রহমান হবি মারা যান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসের চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এম.কে.