
ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির ঈদ মানেই ধর্মীয় আনন্দ ও সমাজে সহানুভূতির অনন্য বহিঃপ্রকাশ। এ সময় মাংস বিতরণে ব্যবহৃত প্যাকেট, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে অনেকেই এখন পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন, যা ঈদের আনন্দকে আরও টেকসই করে তুলছে।
কেন প্রয়োজন পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং?
প্রতি বছর ঈদুল আজহার সময় সারা দেশে লক্ষ লক্ষ কেজি মাংস বিতরণ হয়। এই মাংস প্যাকেটজাত করতে ব্যবহৃত হয় কোটি কোটি প্লাস্টিক ব্যাগ, যা—
1.সহজে নষ্ট হয় না
2.পানি ও মাটি দূষণ করে
3.প্রাণীর দেহে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে
বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দুর্বল হওয়ায় এই সময় শহর ও গ্রামে বর্জ্যের পাহাড় দেখা দেয়। এতে সৃষ্টি হয় পরিবেশ বিপর্যয়।
পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং কী কী হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিচের উপকরণগুলো কোরবানির মাংস বিতরণে নিরাপদ ও পরিবেশসম্মত-
1.পাটের ব্যাগ (দেশীয় ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য)
2.ক্র্যাফট কাগজের ব্যাগ
3.বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যাগ
4.ফুডগ্রেড প্যাকেজিং ফয়েল
এইসব উপকরণ ব্যবহার করলে মাংসও ভালো থাকে, আবার পরিবেশও রক্ষা পায়।
বিশেষজ্ঞ মতামত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফ হোসেন বলেন,“কোরবানির সময় প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। সচেতন হলে সবাই মিলে সহজেই এই ক্ষতি কমানো সম্ভব।”
যুবসমাজের উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণা
অনেক তরুণ সংগঠন এবং সামাজিক উদ্যোগ এবার ‘প্লাস্টিক ফ্রি কোরবানি ক্যাম্পেইন’ চালু করেছে। কেউ কেউ পাটের ব্যাগ বিনামূল্যে বিতরণ করছে, আবার কেউ আবার স্থানীয় দোকান থেকে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে।
কোরবানির মাংস বিতরণে পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং এখন সময়ের দাবি। শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব পালন নয়, পরিবেশ রক্ষা করাও আমাদের নৈতিক কর্তব্য। ঈদের আনন্দ যেনো পরিবেশের বোঝা না হয়—সেই সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ নিয়েই হোক কোরবানির উৎসব।
Mily