ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
লক্ষ্মীপুরে ভাড়ায় গিয়ে মানুষকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে তারেক হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তারেক স্থানীয়ভাবে 'ভাড়াটে গুন্ডা' হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক নেতাদের মদদে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে তারেককে আটকের বিষয়টি লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার (৪ জুন) রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করে সেনাবাহিনী।
আটক তারেক ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. ইউসুফের ছেলে।
সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তারেক সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য। মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদদে তিনি বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় গিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন ঘটনায় টাকার বিনিময়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। তার নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং চলে। তারেকের বিরুদ্ধে ৮ জন ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন অপরাধে তারেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে জামিনে এসে ফের মাদক, চুরির ঘটনাসহ ভাড়ায় গিয়ে মানুষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আসছে তারেক। তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগও রয়েছে।
রহমত উল্যা নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, জমি নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। ওই ঘটনায় আমাদের মারার জন্য তারা তারেককে ভাড়া করে এনেছে। তারেক গুন্ডাসহ তার অনুসারীরা আমাদেরকে বেদম মারধর করেছে।
একইভাবে তারেক ভাড়ায় গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আর এম রিয়াজ, নিজাম উদ্দিন ইমন, হাবিব উল্যাহ, বৃদ্ধ সাখায়েত উল্যাহর ওপর হামলা চালায়। এরমধ্যে হাবিবকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় ইমনকে হুমকি ধমকি ও বাড়িতে হামলা চালায় তারেক ও তার অনুসারীরা।
এ ব্যাপারে জানতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মিরাজ খান
