ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সীতাকুন্ডে মহাসড়কে বাড়ছে অবৈধ পার্কিং, মামলা হলেও টনক নড়ছে না

আশরাফ উদ্দিন, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ৫ জুন ২০২৫

সীতাকুন্ডে মহাসড়কে বাড়ছে অবৈধ পার্কিং, মামলা হলেও টনক নড়ছে না

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।

দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। দাপট দেখিয়ে বছরের পর বছর মহাসড়কে অবৈধভাবে পার্কিং করে আসছেন প্রভাবশালী বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। এই ভোগান্তি নিরসনে যাদের দায়িত্ব পালন করার কথা তারা নীরব ভূমিকায়। হাইওয়ে পুলিশসহ সড়ক সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কের ওপর এসব অবৈধ পার্কিং করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর পুনরায় জাতীয় মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে অর্ধ শতাধিক ইস্পাহানী ডিপোর বিরুদ্ধে মামলা হলেও কোনোভাবেই দমে যাননি প্রতিষ্ঠানটি। টার্মিনালে নিজস্ব ধারণ ক্ষমতার বাইরে পরিবহণ আসায় সেসব যানবাহন দিন-দুপুরে মহাসড়কে পার্কিং করছেন চালকরা। এদিকে দূরদূরান্ত থেকে আসা চালকরা ইস্পাহানী ডিপোর বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেন।

শুধু ইস্পাহানী ডিপো নই মহাসড়কে পার্কিং করে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আসা চালকরা। এদের মধ্যে রয়েছেন গোল্ডেন কনটেইনার ডিপো, বিএসআরএম, কেএস আর এম, কেডিএস কন্টেনার ডিপো, আবুল খায়ের স্টিল মিল, শীতলপুর স্টিল মিল, বিএম কন্টেনার ডিপো। এসব প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও ঔদ্ধত্য আচরণের ফলে চরম ভোগান্তির কবলে পড়তে হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের।

চট্টগ্রাম শহরে নিয়মিত যাতায়াতকারী শাহিনুল ইসলাম নামের এক চাকুরিজীবী জানান, সীতাকুণ্ড অংশে যানজট নিরসনে স্থায়ী কোনো ভূমিকা নেই। কয়েকদিন শো-আপ করার পর আবারো তীব্র যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে। নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যেন মহাসড়ক কিনে রেখেছে। যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং তার প্রতিফলন দেখা যায়। এর ফলে যানজটের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যার বেড়াজালে আবদ্ধ হতে হচ্ছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা এখানে সবাই যেন রাজা আর রাজার হুকুম মেনে চলতে হবে এমন পরিস্থিতি।

মামুন নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইস্পাহানী ডিপো তাদের সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা এসব অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে চরম অতিষ্ঠ। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলে মহাসড়কে আর অন্য কোন প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে পার্কিং করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে।’

মহাসড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মমিন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধভাবে পার্কিং করায় আমরা অর্ধশতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। কোনো প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে পার্কিং করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মিরাজ খান

×