ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রিপল হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ৫ জুন ২০২৫

ট্রিপল হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তি

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় মর্মান্তিক ট্রিপল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার একমাত্র সন্দেহভাজন আসামী রবিন (২২) গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

সূত্র জানায়, ধামরাই থানার মামলা নং-০৫, তারিখ ০৪ জুন ২০২৫ ইং, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নার্গিস বেগম (৩৭), তার ছেলে শামীম (১৬) ও সোলাইমান (৬)। তারা সবাই মৃত রাজা মিয়ার পরিবারের সদস্য। মামলার বাদী মোঃ আব্দুর রশিদ (৪২), নিহত নার্গিসের আত্মীয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ০১ জুন রাত ৯টা থেকে ০২ জুন দুপুর ২টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীরা নার্গিস বেগমের বাড়িতে টিনের বেড়ার দরজা খুলে প্রবেশ করে পরিকল্পিতভাবে তিনজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ খাটে শুইয়ে কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

ঘটনার তদন্তে নামে পিবিআই ঢাকা জেলা। পুলিশ সুপার, পিবিআই-এর নির্দেশে গঠিত একটি চৌকস টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ধামরাইয়ের অধুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ০৪ জুন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন রবিনকে।

রবিন হলেন নিহত নার্গিস বেগমের মেয়ের স্বামী। তদন্তে উঠে আসে পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং শ্বশুরের রেখে যাওয়া ডেকোরেশন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ থেকেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।

পিবিআই জানায়, ০১ জুন রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিট থেকে ০২ জুন ভোর ৪টার মধ্যে রবিন তার শ্যালক শামীমকে প্রথমে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। এরপর একইভাবে হত্যা করে শাশুড়ি নার্গিস ও ছোট শ্যালক সোলাইমানকে। হত্যার পর তিনজনের মরদেহ একই খাটে শুইয়ে রেখে কাঁথা দিয়ে ঢেকে দেয় সে।

ঘটনার পরদিন দুপুরে রবিনের স্ত্রী নাসরিন তার মায়ের বাড়িতে গিয়ে লাশগুলো দেখতে পান এবং থানায় খবর দেন। গ্রেফতারের পর রবিন পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে। জেলা পিবিআই জানায়, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আঁখি

×