
ছবি: সংগৃহীত
ব্যস্ত জীবন, কাজের চাপে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় হয় না অনেকেরই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিট দ্রুতপায়ে হাঁটলেই শরীর ও মন—দুটিই উপকৃত হয়। ব্যায়ামের আলাদা সময় না পেলেও এই সামান্য অভ্যাস স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
হাঁটাকে অনেকেই হালকাভাবে নেন। কিন্তু নিয়মিত ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এটি মানসিক চাপ কমিয়ে জীবনধারার গুণগত মান বাড়ায়।
প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটার ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে:
হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। এটি রক্তচাপ ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে হাঁটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে খাবারের পর হেঁটে নিলে ইনসুলিন কার্যকারিতা বাড়ে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
নিয়মিত হাঁটা ক্যালোরি খরচ করে এবং মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে অতিরিক্ত ওজন জমতে দেয় না।
মানসিক চাপ হ্রাস করে:
বাইরে হাঁটলে মন ভালো থাকে। সূর্যের আলো, বাতাস ও নড়াচড়া মিলে সেরোটোনিন ও ডোপামিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে—যা মানসিক প্রশান্তি দেয়।
হাড় ও পেশি মজবুত করে:
হাঁটলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে, অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ হয় এবং পায়ের পেশিগুলো সুগঠিত হয়।
ঘুমের মান ভালো হয়:
শরীর নড়াচড়া করলে রাতে ঘুম সহজে আসে এবং গভীর ঘুম বজায় থাকে।
হাঁটার শুরুতে ধীরে ধীরে গতি বাড়ানো এবং আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বয়সভেদে হাঁটার সময় ও গতি সামঞ্জস্য রাখা জরুরি। ফিটনেসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে যাওয়ার দরকার নেই। প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিট হাঁটুন—এই ছোট অভ্যাসেই গড়ে উঠতে পারে বড় সুস্থতা।
ফারুক