
স্মার্টফোন এখন দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যোগাযোগ, বিনোদন, কাজ কিংবা পড়ালেখা—সবকিছুতেই ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ফোন। তবে এ সুবিধাই অনেকের জন্য পরিণত হচ্ছে আসক্তিতে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই আসক্তি ভয়ানক মাত্রায় পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার মানসিক চাপ, একাকীত্ব, ঘুমের সমস্যা এবং কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণ হতে পারে। তাই এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।
চলুন জেনে নেই স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে কী করবেন:
১. নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন
সারাদিন ফোন হাতে রাখা বা ঘন ঘন স্ক্রিন চেক করার অভ্যাস ছাড়তে চাইলে সময় নির্ধারণ করে দিন। সকাল-দুপুর-বিকেলে নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ফোন হাতে না নেওয়ার চেষ্টা করুন।
২. “ডিজিটাল ডিটক্স” দিন নিন
সপ্তাহে অন্তত একদিন বা নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা স্মার্টফোন বন্ধ রাখুন। এই সময়টায় বই পড়া, প্রকৃতির কাছে যাওয়া, বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।
৩. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করুন
বেশিরভাগ সময় আমরা বিনোদনমূলক অ্যাপেই ব্যস্ত থাকি। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ যেমন– গেম, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, স্ক্রলিং অ্যাপ ইত্যাদি কমিয়ে দিন বা একেবারে মুছে ফেলুন।
৪. স্ক্রিন টাইম মনিটর করুন
অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে স্ক্রিন টাইম ট্র্যাক করার ফিচার আছে। দিনে কত ঘণ্টা কোথায় সময় ব্যয় করছেন তা দেখে আপনি নিজেই সচেতন হতে পারবেন।
৫. ঘুমের আগে ফোন ব্যবহার বন্ধ
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে ফোন থেকে দূরে থাকুন। এতে ঘুম গভীর হবে, মন শান্ত থাকবে এবং পরদিন মনোযোগও বাড়বে।
ফোনের ভার্চুয়াল সম্পর্ক যতই হোক, বাস্তব জীবনের বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সোশ্যাল লাইফকে গুরুত্ব দিন।
“স্মার্টফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। অভিভাবকদের উচিত শিশু-কিশোরদের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করা। একইসঙ্গে নিজেরাও সচেতন হতে হবে।”
স্মার্টফোন ভালো কাজেও লাগে, কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ। একটু ইচ্ছা ও সচেতনতায় আমরা চাইলে নিজেদের ফোন আসক্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি।
আঁখি