
ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক ব্যাংকিংয়ের যুগে এটিএম বা অটোমেটেড টেলার মেশিন এখন অনেকের নিত্যসঙ্গী। তবে হঠাৎ করেই যদি এটিএম বুথে কার্ড আটকে যায়, তখন অনেকেই আতঙ্কে পড়েন। কেন এমন হয়? আবার এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়? এ বিষয়ে জানালেন ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা।
কার্ড আটকে যাওয়ার সাধারণ কারণ:
১. ভুল পিন নম্বর: পরপর তিনবার ভুল পিন নম্বর দিলে নিরাপত্তার স্বার্থে মেশিন কার্ড আটকে দিতে পারে।
২. কার্ডের মেয়াদ শেষ: মেয়াদোত্তীর্ণ কার্ড অনেক সময় মেশিন গ্রহণ করলেও লেনদেনের সময় আটকে ফেলতে পারে।
৩. প্রযুক্তিগত ত্রুটি: বিদ্যুৎ বিভ্রাট, নেটওয়ার্ক সমস্যা কিংবা সফটওয়্যার গ্লিচের কারণে কার্ড আটকে যেতে পারে।
৪. কার্ডে চুম্বকীয় স্ট্রিপ বা চিপ নষ্ট: কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ বা ইএমভি চিপ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, মেশিন তা পড়ে নিতে ব্যর্থ হয় এবং কার্ড আটকে যেতে পারে।
৫. সন্দেহজনক লেনদেন: কার্ড যদি সন্দেহজনক বা ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেনে ব্যবহৃত হয় বলে মনে করে ব্যাংক, তবে সতর্কতামূলকভাবে এটিএম মেশিন কার্ড আটকে দিতে পারে।
করণীয়:
১. বুথ ত্যাগ করবেন না: কার্ড আটকে গেলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে বুথে অপেক্ষা করুন। অনেক সময় মেশিন কিছুক্ষণ পর নিজেই কার্ড ফিরিয়ে দেয়।
২. ব্যাংকের হেল্পলাইন নম্বরে কল করুন: প্রতিটি বুথেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের জরুরি যোগাযোগ নম্বর দেওয়া থাকে। সাথে সাথে সেই নম্বরে ফোন করে পরিস্থিতি জানান।
৩. নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন: কার্ড না ফেরত পেলে আপনার ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় গিয়ে রিপোর্ট করুন। পরিচয়পত্র ও অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস সঙ্গে রাখুন।
৪. কার্ড ব্লক করুন: যদি সন্দেহ থাকে কার্ড অপব্যবহারের ঝুঁকি আছে, তবে সাথে সাথে হেল্পলাইনে ফোন করে কার্ডটি ব্লক করে দিন।
৫. লিখিত অভিযোগ দিন: নিরাপত্তার স্বার্থে কার্ড আটকে যাওয়ার পর ব্যাংকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে হয়। সেই অভিযোগ অনুযায়ী তারা কার্ড ফেরত দেয় বা নতুন কার্ড ইস্যু করে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন, কার্ড ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে। যেমন: পিন নম্বর গোপন রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার না করা, সন্দেহজনক বুথে লেনদেন না করা এবং নিয়মিত কার্ড চেক করা।
এটিএম বুথে কার্ড আটকে যাওয়া বিরল নয়। তবে পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ব্যাংকের সহায়তা নেওয়াই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।
মিরাজ খান