
অপ্রাপ্ত বয়সে চুলে পাক ধরাটা অনেকের জন্যে উদ্বেগের কারণ হতে পারে, তবে এটি সাধারণত তেমন মারাত্মক কিছু নয়। কিছু কারণে এটি ঘটতে পারে, যেমন:
জেনেটিক্স (Genetics): অনেক সময় পরিবারের মধ্যে এমন ইতিহাস থাকতে পারে, যেখানে অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হয়।
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগও চুলের রঙ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে।
পুষ্টির অভাব: শারীরিকভাবে সঠিক পুষ্টি না পাওয়া, যেমন ভিটামিন বি১২, আয়রন, বা প্রোটিনের অভাব, চুলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
হরমোনের অস্থিরতা: হরমোনের পরিবর্তনও চুলের রঙ পরিবর্তন করতে পারে, বিশেষ করে যখন বয়স বাড়তে থাকে।
বিশেষ কোনো রোগ বা চিকিৎসা: কিছু চিকিৎসা বা রোগও চুলের পাকার কারণ হতে পারে, যেমন থাইরয়েড সমস্যা বা রক্তস্বল্পতা।
করণীয়:
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন: সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, যাতে ভিটামিন ও মিনারেলস যথাযথ পরিমাণে পাওয়া যায়। বিশেষত, ভিটামিন বি১২, আয়রন, জিঙ্ক, এবং প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন: মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শিথিলতা কৌশল গ্রহণ করুন যাতে মানসিক চাপ কমানো যায়।
চুলের যত্ন নিন: নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুন এবং ভাল মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হিট বা রাসায়নিক প্রক্রিয়া চুলের ক্ষতি করতে পারে, তাই তাদের পরিহার করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি মনে হয় চুলের সমস্যা কোনো শারীরিক অবস্থার কারণে হচ্ছে, তবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে, থাইরয়েড বা অটোইমিউন ডিজিজ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসা নিন।
সজিব