
নতুন বছর এলো আবার শীত ঋতু এলো। এখন হিম, হাওয়া শীতের লক্ষণ। আপনি খুব ভোরে উঠেন তাহলে দেখতে পাবেন কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল। ঠাণ্ডা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীতের আগমনের সূচনা করে। তাই প্রায় সবাই তাদের পোশাক থেকে শীতের পোশাক বের করতে শুরু করেছে।
শীতের কাপড় বলতে তো সোয়েটার, জ্যাকেট, মোজা, টুপি, কাঁথা, কম্বল, লেপ এসবই। সুতরাং দীর্ঘদিন বস্তাবন্দি এসব গরম কাপড়গুলো ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে ২/৩ দিন রোদ লাগিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
কোট বা লেদারের কাপড় : কোট আর লেদারের কাপড় ঘরে না ধুয়ে লন্ড্রিতে ড্রাই ক্লিন করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এসব কাপড় ব্যবহারের পর হালকাভাবে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে হ্যাংগারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সঠিকভাবে যত্ন নিলে এ ধরনের কাপড় অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
সোয়েটার : সোয়েটার ব্যবহারের আগে ধুয়ে নেয়া ভালো। সোয়েটার মূলত উলেন বা পশমের হয়ে থাকে। কাজেই এটা ধুতে সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার না করে ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ধোয়া উচিত। আর সাথে অল্প পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে নিলে কাপড়টা আরো ঝকঝকে থাকবে, তবে সাদা কাপড়ের বেলায় পানিতে ভিনেগার না মিশানোই ভালো।
লেপ ও কম্বল: লেপ ব্যবহারের পূর্বে কড়া রোদ লাগিয়ে কভারে ভরে গায়ে দিতে হবে। আর কম্বল ব্যবহারের আগে ড্রাই ক্লিন করিয়ে নিলে ভালো। সপ্তাহে একবার লেপ কম্বল দুটোই রোদ লাগিয়ে ঝেড়ে রাখতে হবে। কম্বলে খুব দ্রুতই ময়লা জমে আর এটা ধোয়ার মতো জিনিসও না। কাজেই কম্বলে কভার লাগিয়ে ঢেকে রাখলে ময়লা হবে না। নিয়মিত কম্বল আর লেপের কভার ধুয়ে পরিষ্কার রাখলেই হবে।
মোজা, মাফলার ও টুপি : শীতে সোয়েটার, চাদরের চেয়ে বেশি ময়লা হয় মোজা, টুপি ও মাফলার। কাজেই কয়েকদিন পরপর এগুলো সাবান অথবা ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।কাঁথা : কাঁথার জন্য আলাদা তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না। ব্যবহারের আগে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে এবং যতবার ময়লা হবে ততবারই একই পদ্ধতিতে পরিষ্কার করলেই কাঁথার যত্ন নেয়া হয়ে যায়।
কাশ্মিরী ও পশমী চাদর : শীতের সময় কাশ্মিরী ও পশমী চাদর ব্যবহার করতে অনেকেই বেশ কমফোর্ট ফিল করেন। তবে এ ধরনের চাদরের যত্ন না নিলে নষ্ট হতেও বেশি সময় লাগবে না। তাই এগুলো ব্যবহারের আগে ভালোভাবে রোদ লাগিয়ে এরপর গায়ে দিতে হবে। এমন চাদরগুলো সারাসরি পানি দিয়ে না ধুয়ে ড্রাইওয়াশ করিয়ে নিলেই অনেকদিন ভালো থাকবে।
শীতের কাপড় আলমারি থেকে বের করে সরাসরি ব্যবহার করাও উচিত না। কারণ বছর ধরে আলমারি বা বক্সে পড়ে থাকা অব্যবহৃত গরম কাপড়গুলোতে ভ্যাপসা একটা ভাব থাকে। এছাড়া পোকা আক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে আর সাথে গুমোট একটা গন্ধতো আছেই। কাজেই এসব কাপড় আলমারি থেকে বের করে সরাসরি গায়ে দেয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত না। এতে করে শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা, র্যাশ উঠা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কাজেই শীতের কাপড় ব্যবহারের পূর্বে বিশেষ কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে এই সহজ বিষয়গুলো মাথায় রাখলে শীতের পোশাক নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এ ছাড়া অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টের মতো কোনো সমস্যা নেই। আপনি শীতকালেও সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে পারেন। সবাই সুস্থ থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ওয়াহেদ রাজু