ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে যা জানা জরুরি

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২৯ মে ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৫, ২৯ মে ২০২৫

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে যা জানা জরুরি

ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা সম্প্রতি এক বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া পুরুষের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দেশে প্রচলিত আইনি ও বাস্তব চিত্রে রয়েছে একটি বড় ধরনের ফারাক।

তিনি বলেন, “ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক, আইন অনুযায়ী যদি একজন পুরুষ তার প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান, তাহলে তার জন্য প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমতি আবশ্যক।”

কীভাবে অনুমতি নিতে হবে?

আঞ্জুমান আরা লিমা জানান, শুধু মৌখিক অনুমতি যথেষ্ট নয়। এজন্য পুরুষকে লিখিত আবেদন করতে হবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি করপোরেশন চেয়ারম্যানের নিকট, যেখানে একটি সালিশি বোর্ড গঠন করে বৈঠকের মাধ্যমে কারণ ব্যাখ্যা করে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে। এই অনুমোদনপত্র ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করাটা নীতিগতভাবে ভুল, যদিও তা সম্পূর্ণ অবৈধ নয়।

অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে কী হয়?

তিনি বলেন, “বাস্তবে আমরা দেখি না যে এত নিয়ম মেনে দ্বিতীয় বিয়ে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বামী গোপনে বা অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করেন। এমন ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী ফ্যামিলি কোর্টে মামলা করতে পারেন। তবে কোর্ট দ্বিতীয় বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করে না বা দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার নির্দেশও দেয় না। কোর্ট সাধারণত সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।”

তিনি আরও বলেন, “আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ নয়, তবে তা নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বৈধ। এসব শর্ত মানা না হলে তা নীতিবিরুদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে সামাজিক ও পারিবারিক জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।”

দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে প্রথম স্ত্রীর লিখিত সম্মতি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করা শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি পারিবারিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আইন না মানলে তা ভবিষ্যতে বড় ধরনের আইনি ও সামাজিক জটিলতা ডেকে আনতে পারে।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=h59XqyhixCs

আবির

×