ছবি: জনকণ্ঠ
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোয়া লাখ মানুষ। দফায় দফায় প্লাবনে জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলায় অন্তত ছয়টি চরের বেরিবাঁধের বাইরে ও ভেতরে থাকা মানুষ পানিবন্দি হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৮টি উপজেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি বসতঘর এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ২৭৭টি ঘরবাড়ির। মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ১৩০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অজিত দেবনাথ জানান, উপজেলার চর মন্তাজ, চালিতাবুনিয়া, চর নজির, চর আন্ডাসহ ছয়টি চরে দফায় দফায় প্লাবনে অন্তত ১১ হাজার পরিবারের ৩৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। কিছু পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে পানির চাপ কমে গেলেও ৬০টি বসতঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, উপজেলার তিনটি পয়েন্টে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন থেকে চার ঘণ্টা এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি ছিলেন। পরে ভাটার টানে পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। তবুও গাছপালা উপড়ে পড়ে ৪টি বসতঘর সম্পূর্ণ এবং ৫২টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফল উপজেলার অর্ধশতাধিক চরের নিম্নাঞ্চল উচ্চ জোয়ারের কারণে বারবার প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, পানির চাপে কিছু এলাকার বেরিবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় ১২০ মিটার বেরিবাঁধ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে ওই জায়গাটি মেরামত করা প্রয়োজন। এছাড়াও অন্যান্য জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহবুবা সুখী জানান, স্থল ও গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮৬.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শহীদ
