ছবি: জনকণ্ঠ
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল পাঁচটায় ফরিদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির কাঠপট্টি দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদাররেস আলী ইসার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর চৌধুরী রুবেল, দেলোয়ার হোসেন দিলা, ফজলুল হক টুলু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন রাজীব, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন মিঠু। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান না থাকলে এ দেশ কখনো স্বাধীন হতো না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে স্বাধীনতাকামী জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি দেশের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এবং বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও জানান বক্তারা।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭ জন বিএনপি নেতার ওপর অত্যাচার করেছে, হামলা-মামলার মাধ্যমে তাদেরকে হয়রানি করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে থেকেও বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও আজও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। প্রয়াত নেতার আদর্শ ধারণ করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আলোচনা সভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ
