ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিসিএস পরীক্ষার ধাপগুলো

চাকরি বাজার ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ২৩ মে ২০২৫; আপডেট: ২১:১৬, ২৩ মে ২০২৫

বিসিএস পরীক্ষার ধাপগুলো

বিসিএস পরীক্ষা সাধারণত প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক বা ভাইভা

বিসিএস পরীক্ষা সাধারণত প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক বা ভাইভা এই ৩টি ধাপে হয়ে থাকে। এই পরীক্ষাগুলোতে প্রার্থীদের যেভাবে যাচাই বাছাই করা হয়ে থাকে তা সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো-
১ম ধাপ (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা):
এই ধাপে প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০ নম্বরের এই পরীক্ষাতে মোট ১০টি বিষয় থেকে নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) আকারে প্রশ্ন থাকে। এগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য একজন পরীক্ষার্থী মোট ২ ঘণ্টা সময় পান। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ থাকে। পাশাপাশি প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ (অর্ধেক) নম্বর করে কাটাও হয়ে থাকে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রার্থী বাছাই করা হয়। জেনে রাখা ভালো যে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর মূল পরীক্ষার নম্বরের সাথে যোগ করা হয় না এবং মোট অংশ্রগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা মাত্র ৫% থেকে ১০% পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ করা হয়ে থাকে।
২য় ধাপ (লিখিত পরীক্ষা):
এই ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। মোট ৯০০ নম্বরের এই পরীক্ষাটি পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করেই চূড়ান্ত নিয়োগের বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস নম্বর ৫০%। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই মৌখিক পরীক্ষাতে ডাকা হয়।
৩য় ধাপ (ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষা):
এই ধাপে মোট ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। এখানেও পাশ নম্বর ৫০%। মৌখিক পরীক্ষার জন্য ভাইভা বোর্ড গঠিত হয় একজন চেয়ারম্যান এবং একজন বোর্ড সদস্য দ্বারা। এই পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোন সিলেবাস থাকে না। সাধারণত একাডেমিক পড়াশোনা, দেশ, সমাজ, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং প্রার্থীর ক্যাডার চয়েস লিস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মোট নম্বর, অর্থাৎ ৯০০ + ২০০ = ১১০০ নম্বরের মধ্য থেকে মেধা তালিকা তৈরি করে বিপিএসসি বিসিএস ক্যাডার হিসাবে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করে। বিপিএসসির সুপারিশ অনুযায়ী জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় বিসিএস ক্যাডারদের চূড়ান্ত নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে তার আগে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রত্যেক প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) দ্বারা ভেরিফিকেশন করা হয়। এই ধাপসমূহে উত্তীর্ণ হতে পারলেই কেবল উত্তীর্ণ প্রার্থীরা গেজেটভুক্ত ক্যাডার হতে পারেন।
লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দুটির ক্ষেত্রে একটি বিষয় খুবই জরুরিভাবে মনে রাখা দরকার। আর সেটি হচ্ছে, এই পরীক্ষা দুটিতে যত বেশি নম্বর পাওয়া যায় ততই নিজের পছন্দানুসারে ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা বাড়ে। এ কারণে এই পরীক্ষাসমূহে অংশগ্রহণের আগে বিসিএস সিলেবাস এবং মানবণ্টন খুবই ভালো ভাবে জেনে নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
চাকরি বাজার ডেস্ক

×