ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরির জন্য দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি

চাকরি বাজার ডেস্ক 

প্রকাশিত: ০১:৪২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চাকরির জন্য দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি

প্রযুক্তি, ভাষা, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নই বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজার

প্রযুক্তি, ভাষা, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নই বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকার একমাত্র ভরসা। কিভাবে দক্ষ করবেন নিজেকেÑ এ নিয়েই আজকের আলোচনা
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করতে হবে : যখন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আসবে, প্রথমেই কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে। ইংরেজি শোনা, বলা এবং পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাংলাও শুনতে হবে, পড়তে হবে, চর্চা করতে হবে। বলা এবং লেখা- দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিষ্ঠান যেমনই হোক, ভালো ইংরেজি বলতে পারলে চাকরিতে বেতন কাঠামো ভালো হবে।
ভাষার দক্ষতা চাকরি বাজারে এগিয়ে রাখবে : বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা জানা থাকলে খুবই ভালো। বাংলা ও ইংরেজির বাইরে ম্যান্ডারিন, জাপানিজ, ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিস যে কোনো একটি ভাষা জানলে ভালো। বিনামূল্যে এখন ইউটিউবে উঁড়ষরহমড় সহ ভাষা শিক্ষার অনেকগুলো অনলাইন কোর্স রয়েছে, চাইলে সেই সুযোগ নেওয়া যেতে পারে।
ক্যারিয়ার গঠনে শিক্ষার্থীদের যে সকল বিষয়ে নজর দিতে হবে : শিক্ষার্থীরা নিজের ক্যারিয়ার গঠনে যার যার পছন্দমতো কাজ বেছে নেবে, যা তার দ্বারা সম্ভব। নিজের আগ্রহ, স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজের দক্ষতার জায়গা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কয়েকটি বেসিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। যোগাযোগ দক্ষতা বা সফট স্কিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সম্পর্কে বলা বা নিজেকে উপস্থাপন করাটা শিখতে হবে। নিজের ওপর আস্থা অর্জন করতে হবে। তাই আত্মবিশ্বাস খুব জরুরি। নিজেকে, নিজের দেশকে, নিজের ইতিহাস-সভ্যতার বিষয়ে জানতে হবে।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান : প্রযুক্তির দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগের দক্ষতার মধ্যেও প্রযুক্তি দক্ষতার বিষয়টি চলে আসে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ডাটাবেসÑ এগুলো সব শিক্ষার্থীদের শেখা প্রয়োজন। কারও যদি ভাষা, কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হয়, চাকরির বাজারে তার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এমনকি মাইক্রোসফট এক্সেল  জানলেও অনেক ধরনের চাকরি পাওয়া যায়। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান বিশ্বে সুযোগের সম্ভাবনা অবারিত। তবে পরিশ্রম করতে হবে। 
দক্ষতার গুরুত্ব : দক্ষতাই সাফল্যের মূলমন্ত্র। যে কেউ তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে। ইতিহাস, ভাষা, কম্পিউটার-টেকনোলজি, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল, নার্সিংয়ে ডিগ্রিধারীÑ সর্বত্র অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং, ইলেক্ট্রিনিকস, এয়ারকন্ডিশনার, ফার্মিং ইত্যাদি বিষয়ে ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখলে জরুরি প্রয়োজনে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করে প্রয়োজন মিটাতে পারবে।

এ ছাড়া ছোট কোনো ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সরকার এখন শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। প্রযুক্তি ও কৃষিক্ষেত্রে অনেকেই উদ্যোগ নিচ্ছে। আর এসব দক্ষতাগুলো থাকলে যে কোনো চাকরির ক্ষেত্রেও কাজে লেগে যেতে পারে। গ্রাফিকস ডিজাইন কিংবা এনিমেশন জানা থাকলে ঘরে বসেই দেশ-বিদেশের কর্মবাজারে অংশ নিতে পারবে।
বিষয় নির্বাচনের গুরুত্ব : বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, কলা-সামাজিক বিজ্ঞান বা অন্য যে অনুষদেই পড়ুক না কেন, সফল হওয়ার সম্ভাবনা কারও কম নয়। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন নতুন বিষয় খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিষয়ের চাহিদাও ব্যাপক। যে বিষয়েই পড়ুক না কেন, ইতিহাসজ্ঞান, জেনারেল নলেজ, আইটি স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল-এগুলো দরকার। এখন সবকিছু উন্মুক্ত। তাই জানার জগৎটাও অনেক বিস্তৃত। নিজেকে এক জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখলে পিছিয়ে পড়তে হবে। 
স্বেচ্ছাসেবী বা সহপাঠ কার্যক্রমের উপকারিতা : বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম ইত্যাদিতে অংশ নিলে লিডারশিপ কোয়ালিটি তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ক্রীড়া সংগঠন বা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। বিতর্ক, নাটক, আবৃত্তি, সাহিত্য, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। এসব শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। আর ছাত্রাবস্থায় এসব কার্যক্রমে অংশ নিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করেও অন্য দশজনের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
চাকরি বাজার ডেস্ক 

×