
ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও থেমে নেই ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা। একে অপরকে লক্ষ্য করে ঘন ঘন কৌশলগত বার্তা দিচ্ছে দুই দেশ। এরই মধ্যে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর পাইলট, কমান্ডার ও ড্রোন অপারেটরদের নাম-ঠিকানা, ঘাঁটির অবস্থান এবং অতীত কর্মকাণ্ডসহ পরিচয় তালিকাভুক্ত করার কথা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, ইসরাইলি সেনাদের এসব পরিচয় এখন তাদের হাতে এবং ইতিমধ্যেই কিছু তথ্যভিত্তিক প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু হয়েছে।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল এসব সামরিক সদস্যের পরিচয় গোপন রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। এমনকি টেলিভিশন সম্প্রচারে তাদের মুখ ঝাপসা করে দেখানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তেহরানের গোয়েন্দারা সেইসব বাধা অতিক্রম করে তথ্য সংগ্রহে সফল হয়েছে।
ইরান ইতিমধ্যেই স্কোয়াডন ১১৯-এর ডেপুটি কমিশনার মেজর রিয়েল অ্যাশ ও তার স্বামী বার প্রিন্স—এই দুই ইসরাইলি পাইলটের পরিচয় প্রকাশ করেছে। শুধু নাম নয়, তাদের সুনির্দিষ্ট বাসস্থান, চলাচলের পথ, এমনকি স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে বসবাসের ঘর পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব তথ্য ফাঁসের ফলে পৃথিবীর কোথাও আর নিরাপদ থাকবে না ইসরাইলি সামরিক পাইলট ও কমান্ডাররা। ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নেয়ার কৌশলগত সুবিধা পেতে এই গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগাবে ইরান। এমনকি দাবি করা হয়েছে, কিছু ইসরাইলি সেনার বাসভবনে এরই মধ্যে হামলা চালানো হয়েছে এবং গোয়েন্দা অভিযানের প্রক্রিয়া পুরোদমে চালু আছে।
তেহরান আরও বলছে, এখন পর্যন্ত যা প্রকাশ হয়েছে তা কেবল একটি নমুনা মাত্র। ভবিষ্যতে আরও বহু গোপন তথ্য জনসমক্ষে আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই তথ্য ফাঁস ইসরাইলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের অস্বস্তির কারণ হতে পারে, বিশেষত এমন এক সময়ে যখন উভয় দেশ মুখে যুদ্ধবিরতি মানলেও আড়ালে চলছে পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি।
শেখ ফরিদ