
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড ২৬০ কোটি ডলারের গবেষণা অনুদান কেটে নেওয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আদালতে মামলা করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে হার্ভার্ডকে লক্ষ্য করে নানা অভিযোগ এনে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। তাদের অভিযোগ—হার্ভার্ডে ইহুদিবিরোধিতা বাড়ছে এবং সেখানে একচেটিয়া উদারপন্থার চর্চা হচ্ছে।
হার্ভার্ড বলছে, এসব অভিযোগ অজুহাত মাত্র। প্রকৃতপক্ষে সরকার তাদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করতে চাইছে। গবেষণা অনুদান কেটে দিলে বহু গবেষণা থেমে যাবে, ল্যাব বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক বিজ্ঞানীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে।
আদালতে কী ঘটেছে?
হার্ভার্ড বলছে, এটা তাদের দোষের বিষয় নয়—বরং সরকারের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, হার্ভার্ডে ইহুদিবিরোধী ঘটনা বেড়েছে, তাই অনুদান বাতিল করা হয়েছে। বিচারক প্রশ্ন তোলেন, কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই কিভাবে সরকার ইচ্ছামতো গবেষণা অনুদান বাতিল করতে পারে?
২০২৩ সালে হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষের পর হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়, যা প্রশাসনের নজরে আসে। সরকার বলছে, হার্ভার্ড ইহুদি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুরক্ষায় ব্যর্থ। হার্ভার্ড বলছে, সরকার তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের হার্ভার্ডে ভর্তি বন্ধের চেষ্টা। করমুক্ত মর্যাদা (tax-exempt status) বাতিলের হুমকি। হার্ভার্ডের শিক্ষাগত বিষয়বস্তু ও নিয়োগে হস্তক্ষেপের চেষ্টা।
হার্ভার্ডের কিছু গবেষক বলেছেন, এই অনুদান বন্ধ হলে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা থেমে যাবে। অনেক গবেষক হয়তো বিদেশে চলে যেতে বাধ্য হবেন।
আদালতের শুনানির পর ট্রাম্প বিচারককে “সম্পূর্ণ ব্যর্থ” বলে সমালোচনা করেন এবং হার্ভার্ডকে “দেশবিরোধী” বলে আখ্যা দেন।
আবির