
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পানি সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের প্রতি পানির ব্যবহার সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।
বিশেষ করে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে পানি সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। এই সংকটের জন্য কর্তৃপক্ষ একদিকে যেমন পানির অপব্যবহার ও ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত উত্তোলনকে দায়ী করছে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকেও দায়ী করা হচ্ছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) ইরানের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দেশটি এই সপ্তাহে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের মধ্যে রয়েছে। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি এক্স (আগে টুইটার) পোস্টে বলেন, ‘চরম গরম ও পানি–বিদ্যুৎ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় বুধবার তেহরান প্রদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
রোববার তেহরানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় এবং সোমবার তা বেড়ে ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
‘অন্তত ২০ শতাংশ পানি কম ব্যবহার করুন’
তেহরান সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহদি চামরান নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন, ‘পানির সরবরাহে ঘাটতি এড়াতে সবাইকে পানি সাশ্রয়ী হতে হবে।’
তেহরানের প্রাদেশিক পানি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে রাজধানীতে পানি সরবরাহকারী বাঁধগুলোর জলাধারে পানির মজুদ এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। তাই সংকট নিরসনে তারা নাগরিকদের কমপক্ষে ২০ শতাংশ পানি কম ব্যবহারের অনুরোধ জানায়।
রাজধানীর কিছু এলাকায় ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টার পানি বন্ধ
রক্ষণাবেক্ষণের নামে রাজধানী তেহরানের কিছু এলাকায় ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানায় দেশটির পত্রিকা জাভান।
এদিকে ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আব্বাস আলিয়াবাদি রোববার পানি সরবরাহে কমতি থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ইতোমধ্যে ইরানের অন্যান্য প্রদেশেও একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যেখানে নাগরিকদের পানি খরচ কমিয়ে আনার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ডন।
রাকিব