
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ আপডেটে জানানো হয়েছে, তিনি আবারও ‘ক্রনিক ভিনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ (Chronic Venous Insufficiency) নামক এক জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এটি একটি রক্তপ্রবাহজনিত রোগ, যা পায়ের নিচের অংশে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এতে সাধারণত পা ও পিণ্ডলিতে (calves) ফোলাভাব দেখা দেয়।
এই রোগটি কতটা সাধারণ?
এবিসি নিউজ মেডিকেল কনট্রিবিউটর ও স্ট্যামফোর্ড চিলড্রেনস হেলথ-এর শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অলক প্যাটেল জানিয়েছেন, এই রোগটি যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এটি দ্বারা আক্রান্ত হন। আমাদের শরীরের ভেনাস সিস্টেমের কাজ হলো রক্তকে হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। নানা কারণে সেই রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো না চললে ‘ক্রনিক ভিনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ দেখা দেয়।
এই রোগ কীভাবে ধরা পড়ে?
প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ফোলাভাব এবং ব্যথার উপসর্গ দেখা দিলে, হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি জানান, তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যে এটি হৃদরোগ, ধমনীর রোগ (arterial disease), গভীর শিরা রক্ত জমাট (deep vein thrombosis), অথবা অন্যান্য সিস্টেমেটিক রোগের কারণে নয়। এসব সম্ভাবনা বাদ দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে যে এটি ‘ক্রনিক ভিনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’।
চিকিৎসা কীভাবে হয়?
ড. প্যাটেল বলেন, এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গের তীব্রতা ও ব্যক্তির জীবনযাত্রার উপর। হালকা পর্যায়ে, জীবনধারার পরিবর্তনই অনেক সময় যথেষ্ট। যেমন:
-
কম্প্রেশন সাক্স পরা (রক্ত চলাচলে সহায়তা করে)
-
পা উঁচু করে রাখা
-
নিয়মিত ব্যায়াম
-
ওজন নিয়ন্ত্রণ ও সুষম খাদ্যাভ্যাস
তবে যদি রোগী হাঁটাচলায় অসুবিধা অনুভব করেন, পায়ে ব্যথা বা রঙের পরিবর্তন ঘটে, তাহলে আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
বিশেষ পরামর্শ:
ড. প্যাটেল বলেন, হঠাৎ করে যদি কারও পা ফুলে যায় বা ব্যথা শুরু হয়, তাহলে এটিকে হালকা ভেবে নেওয়া উচিত নয়। শুধুমাত্র জীবনধারার কারণে নয়, জিনগত কারণ, বয়স বৃদ্ধি, স্থূলতা এবং দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। তিনি কম্প্রেশন সাক্স ব্যবহারের বড় সমর্থক বলেও জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এই রোগের বিষয়টি আগেও শনাক্ত হয়েছিল, তবে বর্তমানে চিকিৎসকদের মতে এটি গুরুতর নয়। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং জীবনযাপন সংক্রান্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।
Jahan