
ছবি: সংগৃহীত
দুইটি মাস্টার্স, একটি পিএইচডি, অক্সফোর্ড থেকে শিক্ষা, তবু জীবিকা নির্বাহের জন্য ডেলিভারি রাইডার!
চীন থেকে আসা ৩৯ বছর বয়সী ডিং ইউয়ানঝাও (Ding Yuanzhao) এখন সিঙ্গাপুরে একজন ফুড ডেলিভারি রাইডার হিসেবে কাজ করছেন। অথচ তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়োডাইভারসিটিতে মাস্টার্স, পিকিং ইউনিভার্সিটির এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার্স, এবং সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ইন বায়োলজি।
ডিং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (NUS) পোস্টডক্টরাল গবেষণার পর চাকরির জন্য ১০টিরও বেশি ইন্টারভিউ দিয়েছেন, কিন্তু কোনোটিতেই সুযোগ পাননি। অর্থনৈতিক চাপ ও জীবনের বাস্তবতায়, তিনি ডেলিভারি চাকরি বেছে নেন।
সপ্তাহে প্রায় ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার আয় করেন, দিনে গড়ে ১০ ঘণ্টা কাজ করে। ডিং বলেন, “এটা স্থায়ী ও সম্মানজনক পেশা। পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারছি। কষ্ট করলে সৎভাবে আয় হয়।”
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে উচ্চশিক্ষিতদের আন্ডারএমপ্লয়মেন্ট ভয়াবহভাবে বাড়ছে। একদিকে একাডেমিক ফান্ডিং কমছে, অন্যদিকে জব মার্কেটে দক্ষতা ও চাহিদার মিল নেই। ফলে অনেক পিএইচডি হোল্ডারই বাধ্য হচ্ছেন গিগ ইকোনমি বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে নাম লেখাতে।
ডিং-এর শিক্ষাজীবন শুরু হয় চীনের ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে। ২০০৪ সালের গাওকাও পরীক্ষায় ৭৫০ এর মধ্যে ৭০০ স্কোর করেন, যা তাকে চিংহুয়া ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করে দেয়। এরপর তিনি একে একে কেমিস্ট্রি, এনার্জি, বায়োলজি ও বায়োডাইভারসিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ও গবেষণার কাজ করেন।
অনেকে উচ্চশিক্ষার পর প্রাইভেট টিউশন করে আয় করেন। কিন্তু ডিং বলেন, “আমি খুব লাজুক। নিজে থেকে ক্লায়েন্ট খুঁজতে পারি না।”
মুমু ২