
ছবি: সংগৃহীত।
গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গণহত্যা কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিদিনই পাখির মতো ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যা করছে দখলদার বাহিনী। যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও, বাস্তবে বোমা আর রক্তেই ডুবে আছে গাজা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ নিধনযজ্ঞে প্রতিদিনই নতুন করে যোগ হচ্ছে লাশের সংখ্যা।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থাপন হয়েছিল। তবে তা ভেঙে পড়ে মার্চ মাসের শেষভাগে। এরপর থেকে ফের জোরালোভাবে শুরু হয় হামলা।
এদিকে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ ভুল বা ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ার’-এর ঘটনা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
৪ জুলাই (শুক্রবার) ইসরাইলি আর্মি রেডিওর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত ৪৪০ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ফ্রেন্ডলি ফায়ারেই প্রাণ গেছে ৩১ জন সেনার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,
-
৭২ জন সেনা অভিযানের সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হন
-
২৩ জন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের ভুল ব্যবহারে প্রাণ হারান
-
৭ জন সাজোয়া যান বা ট্যাংকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন
-
৬ জন অজ্ঞাত গুলিবর্ষণে প্রাণ হারান
অর্থাৎ যুদ্ধের ভয়াবহতা কেবল ফিলিস্তিনিদের জন্যই নয়, ইসরাইলি বাহিনীর ভেতরেও বাড়ছে মৃত্যু ও বিশৃঙ্খলার ছাপ।
নুসরাত