
নরওয়ের রাজকুমারী মেত্তে-মারিতের পুত্র মারিয়ুস বোরগ হোইবির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ গঠন করেছে ওসলো পুলিশ। মাসব্যাপী তদন্তের পর শুক্রবার পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযোগ ঘোষণা করে।
২৮ বছর বয়সী হোইবি রাজকুমার হ্যাকনের সৎপুত্র। পুলিশ জানায়, একাধিক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং শারীরিক আঘাতের ঘটনায় ‘দ্বিজাতিক সংখ্যা’র অভিযোগকারী রয়েছে।
ওসলো পুলিশ অ্যাটর্নি আন্দ্রেয়াস ক্রুশেভস্কি বলেন, “হোইবি জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছেন। তদন্তে মেসেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও পুলিশি তল্লাশির ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।”
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
একটি ধর্ষণের ঘটনা যেখানে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে,
-
দুটি ধর্ষণ যেখানে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি,
-
চারটি যৌন নিপীড়নের ঘটনা,
-
দুটি শারীরিক আঘাতের ঘটনা।
অ্যাটর্নি ক্রুশেভস্কি বলেন, “ভুক্তভোগীদের সঠিক সংখ্যা জানানো সম্ভব নয়, তবে এটি একটি দ্বিজাতিক সংখ্যা।”
হোইবির আইনজীবী পেতার সেকুলিচ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, হোইবি অভিযোগগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন, তবে বেশিরভাগ অভিযোগ—বিশেষ করে যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের বিষয়গুলো তিনি অস্বীকার করেছেন।
নরওয়ের রাজপ্রাসাদ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। নরওয়েজিয়ান সংবাদ সংস্থা NTB-কে রাজপ্রাসাদ জানায়, মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় থাকায় তারা মন্তব্য করবে না।
হোইবি বর্তমানে রাজপরিবারের কাছাকাছি একটি আলাদা বাড়িতে থাকেন। একসময় “লিটল মারিয়ুস” নামে পরিচিত হোইবি রাজকুমার ও রাজকুমারীর সঙ্গে বড় হয়েছেন এবং একই ধরনের রাজকীয় জীবনযাপন উপভোগ করেছেন। তবে তার জীবনের নানা অধ্যায় রাজপরিবারকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। তার জন্মদাতা পিতা মর্টেন বর্গ মাদক ও সহিংস অপরাধে জেল খেটেছেন। হোইবি নিজেও কোকেন আসক্তির কথা স্বীকার করেছেন।
হোইবি এখনো জামিনে মুক্ত রয়েছেন এবং আদালতের চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত তিনি দোষী নন—এই আইনসিদ্ধ ধারণা তার প্রাপ্য।
Jahan