
ছবি:সংগৃহীত
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের মেঘানীনগরে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান। লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় লোকালয়ে। দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় শতাধিক যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোইং কোম্পানির B787 ড্রিমলাইনার মডেলের। ফ্লাইট নম্বর AI-171। এতে ছিলেন ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান ও ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
এআই-১৭১ নম্বরের বিমানটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই, ভূমি থেকে মাত্র ৬০০ ফুট উচ্চতায় ওঠার পর, বিমানটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং এক মিনিটের মাথায় ‘মেডে’ কল পাঠায় ককপিট থেকে। এরপরই সেটি লোকালয়ে ভেঙে পড়ে।
বিমান ভেঙে পড়ার সাথে সাথেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মুহূর্তেই পুরো এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে। আশেপাশের বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দুর্ঘটনার পরপরই গুজরাট রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ধারকাজ শুরু করে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে দ্রুত আহতদের পাঠানো হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে স্থাপন করা হয়েছে গ্রীন করিডর। আশেপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে এবং আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের বিমান চলাচল।ঘটনার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সমন্বয় করছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
উদ্ধারকাজে নিযুক্ত বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এখনও পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছামিয়া