
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক—এই জুটি একসময় একে অপরের পরিপূরক বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু গত ১১ দিনে তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে বিরোধে পরিণত হয়েছে।
মাত্র কিছুদিন আগেও দুজন ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ট্রাম্প যেখানে যেতেন, সেখানেই প্রায়শই দেখা যেত মাস্ককে। এমনকি গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলন মাস্ক সক্রিয়ভাবে ট্রাম্পের পক্ষে কাজও করেছেন।
নির্বাচনের পর ইলন মাস্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব দেন ট্রাম্প, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি ব্যয় হ্রাস করা। কিন্তু ২৯ মে, বৃহস্পতিবার মাস্ক ঘোষণা দেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় তিনি পদ ছেড়ে দিচ্ছেন।
পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন । এর জবাবে ট্রাম্পও সামাজিকমাধ্যমে কটাক্ষ করে মাস্ককে আক্রমণ করেন। যদিও শুক্রবার (৬ জুন) একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “ইলন মাস্ককে নিয়ে আমি ভাবিই না।”
তবে এরই মধ্যে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইলন মাস্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ট্রাম্প নিজের টেসলা গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস্ক হচ্ছেন বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী।
এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারেও। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হওয়ার পর টেসলার শেয়ারে বড় ধস নামে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটি হারিয়েছে প্রায় ১১৫ বিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য, একই সঙ্গে ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদেও বড় রকমের ধস নামে।
সানজানা