
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও অ্যাপলকে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন তৈরির চাপ দিয়ে বলেছেন, ‘যদি আমেরিকায় তৈরি না হয়, তবে ২৫% শুল্ক দিতে হবে।’ শুক্রবার (২৩ মে) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি আগেই অ্যাপল সিইও টিম কুককে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। ‘আমার প্রত্যাশা, আমেরিকায় বিক্রি হওয়া আইফোনগুলো আমেরিকাতেই তৈরি হবে—ভারত বা অন্য কোথাও নয়। তা না হলে অ্যাপলকে অন্তত ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইফোন পুরোপুরি আমেরিকায় তৈরি করতে গেলে সময় লাগবে ৫ থেকে ১০ বছর, আর এতে দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে ৩,৫০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
উইডবুশ সিকিউরিটিজ-এর বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, ‘অ্যাপল যদি পুরো উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসে, সেটি হবে এক ধরনের কল্পকাহিনি। এতে খরচ ও সময়—দুই-ই লাগবে অনেক।’
বর্তমানে অ্যাপলের সর্বাধুনিক স্মার্টফোন আইফোন ১৬ প্রো এবং ১৬ প্রো ম্যাক্স—যেগুলোর দাম যথাক্রমে ১,০০০ ও ১,২০০ ডলার—সেগুলোর একটি বড় অংশই তৈরি হচ্ছে ভারতে। সিইও টিম কুক গত মে মাসে জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য তৈরি হওয়া আইফোনের ৫০ শতাংশের বেশি ভারত থেকে আসছে, মূলত চীনের ওপর থাকা মার্কিন শুল্ক এড়াতে।
বিশ্লেষক আইভসের মতে, চলতি বছরের ফলে ভারতের উৎপাদন ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘টিম কুক এখন ১০ ভাগ রাজনীতিক আর ৯০ ভাগ সিইও—হয়তো এখন সেটা ২৫/৭৫ হয়ে গেছে। আমাদের বিশ্বাস, আইফোন ১৭ উৎপাদন সামনে রেখে অ্যাপল এই জটিল শুল্ক পরিস্থিতিকে চুক্তির খেলায় পরিণত করবে।’
এর আগে হোয়াইট হাউসে টিম কুকের সঙ্গে এক বৈঠকের পরই ট্রাম্পের এই হুমকি এলো।
অ্যাপল অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগে আগ্রহী বলেই জানিয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তারা ঘোষণা দেয়, ৫০০ বিলিয়ন ডলার মার্কিন অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে। এর মধ্যে রয়েছে হিউস্টনের কাছে একটি উন্নতমানের এআই সার্ভার কারখানা নির্মাণ, ডেট্রয়টে অ্যাপল ম্যানুফ্যাকচারিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা, এবং ২০,০০০ নতুন কর্মী নিয়োগ—যাঁরা কাজ করবেন গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং-এ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন তৈরির খরচ যেভাবে বেড়ে যাবে, তাতে সাধারণ মার্কিন ক্রেতার পক্ষে তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
সূত্র: https://www.foxbusiness.com/economy/how-much-apple-iphone-could-cost-made-us
রাকিব