
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ার আকাশসীমায় কৌশলগত ভারসাম্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে পাকিস্তানের সম্ভাব্য নতুন অস্ত্রাগার। চীনের তৈরি পিএল-১৫ই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রয়োগের পর, এবার পাকিস্তানের হাতে উঠতে যাচ্ছে আরেকটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পিএল-৭, যা বদলে দিতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশযুদ্ধের ভারসাম্য।
সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেটনসি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া পিএল-১৫ই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল, সুখোই এমকেআই এবং মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেনি, তবে বিমান বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই ক্ষয়ক্ষতিকে যুদ্ধের অংশ বলেই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পিএল-৭ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার আকাশযুদ্ধে ভারতের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
শুধু শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমানই নয়, বরং AWACS, ট্যাংকার এবং নজরদারি বিমান—এই ধরনের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যাটফর্মগুলোকেও ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে পিএল-৭।
চীনের ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ যুদ্ধবিমান জে-২০ ইতোমধ্যে পিএল-৭ মিসাইল সিস্টেমে সজ্জিত হয়েছে এবং সফলভাবে এর অপারেশনাল ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান পিএল-৭ ক্ষেপণাস্ত্র তাদের জেনসি যুদ্ধবিমান কিংবা উন্নত জেএফ-৭ ব্লক থ্রি প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করতে পারে।
এতে করে পাকিস্তান এমন একটি কৌশলগত সুবিধা পাবে, যার মাধ্যমে তারা শত্রুর যুদ্ধবিমানকে বহুদূর থেকে টার্গেট করতে পারবে, যেখানে প্রতিপক্ষের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে।
পিএল-৭ শুধু দীর্ঘ পাল্লার জন্যই নয়, এর প্রযুক্তিগত দিক থেকেও অত্যন্ত উন্নত। এতে রয়েছে—
ইনার্শিয়াল ন্যাভিগেশন সিস্টেম (INS)
জিপিএস ভিত্তিক গাইডেন্স
ASAR রাডার নির্ভর টার্গেটিং সিস্টেম
এবং উন্নত ডেটালিংক সংযোগ ব্যবস্থা
এই প্রযুক্তিগুলো একে শত্রু জ্যামিং রোধে সক্ষম করে তোলে এবং লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণ ও নিখুঁতভাবে ধ্বংস করার জন্য কার্যকর করে তোলে।
এসএফ