ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভাইরাল ক্লিপ নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ৩০ মে ২০২৫; আপডেট: ১৪:৪৫, ৩০ মে ২০২৫

ভাইরাল ক্লিপ নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা

তিনি ডান দিকে এগিয়ে কাউকে কিছু বলতে যাওয়ায় ব্রিজিট হাত দিয়ে তার মুখ সরিয়ে দেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ স্ত্রী ব্রিজিটের সাথে বিবাদসংক্রান্ত গুজব নাকচ করে দিয়েছেন, একটি ভাইরাল ভিডিওতে তাকে স্ত্রীর হাতের থাপ্পড় খেতে দেখা গিয়েছিল।  

ভিয়েতনাম সফরে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের বিমান থেকে নামার মুহূর্তে ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের দরজা খোলার পর মাখোঁ যখন কাউকে কথা বলতে যাচ্ছিলেন, তখন ব্রিজিট হাত দিয়ে তার মুখ সরিয়ে দেন। এই অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে মাখোঁ কিছুটা হতভম্ব হলেও দ্রুত নিজেকে সামলে নেন এবং ক্যামেরার দিকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। পরে দুজন আলাদাভাবে বিমান থেকে নামেন, হাত ধরে না।  

এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর দম্পতির সম্পর্কে টানাপোড়েনের নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।  

 'আমি স্ত্রীর সাথে মজা করছিলাম'  
ইন্টারনেটে আলোচনা তুঙ্গে উঠলে মাখোঁ নিজেই সাংবাদিকদের বলেন, এটি নিছক মজার মুহূর্ত ছিল।  

"একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমি স্ত্রীর সাথে হাসি-তামাশা করছি, আর সেটি যেন মহাজাগতিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে! কেউ কেউ তো নানা তত্ত্ব দাঁড় করাচ্ছেন," তিনি বলেন। "গত তিন সপ্তাহ ধরে কেউ কেউ ভিডিও দেখে ভেবেছেন আমি কোকেন ভাগ করে নিচ্ছি, কেউ মনে করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথে আমার ঝগড়া হয়েছে, আর এখন আবার স্ত্রীর সাথে অশান্তির গল্প। এগুলোর কোনোটিই সত্য নয়। সবাইকে শান্ত হতে হবে।"  

প্রাথমিকভাবে মাখোঁ-এর দফতর ভিডিওটিকে 'ম্যানিপুলেটেড' বলে উড়িয়ে দিলেও, সংবাদ সংস্থাগুলো এর সত্যতা নিশ্চিত করায় তারা ঘটনাটিকে সাধারণ ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যা করে। দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, "ট্রিপ শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী হালকা মজা করছিলেন। এটি তাদের মধ্যকার সহজ সম্বন্ধেরই অংশ। কিন্তু ষড়যন্ত্র তত্ত্বকারীদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট।"  

 কী দেখা গিয়েছিল ভিডিওতে?  
হ্যানয়ে বিমান অবতরণের পরই এই দৃশ্য ধরা পড়ে। বিমানের দরজা খুলতেই মাখোঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি ডান দিকে এগিয়ে কাউকে কিছু বলতে যাওয়ায় ব্রিজিট হাত দিয়ে তার মুখ সরিয়ে দেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষণিকের বিভ্রান্তি এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠা—সবই ক্যামেরাবন্দি হয়।  

এই ঘটনায় ফরাসি নেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ নিয়ে বাড়াবাড়ির কোনো কারণ নেই। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো কীভাবে বিশ্লেষিত হয়, তা নিয়েও নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে এই ঘটনা।

হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে অনূদিত  

সাব্বির

×