
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা অবসানের দাবিতে ইতালির রাজধানী রোমে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন বহু মানুষ।
বুধবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ডজনখানেক বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হাসপাতাল ধ্বংস এবং গাজায় মানবিক বিপর্যয় তৈরির অভিযোগ আনেন। তাঁদের দাবি, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় চরম দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসাসংকট সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া জর্জিয়া প্রোসপেরি বলেন, “এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ, প্রকৃতপক্ষে একটি গণহত্যা চলছে। তাই এই যুদ্ধবিরোধী বর্বরতার বিরুদ্ধে আমাদের যন্ত্রণা প্রকাশ করাই সঠিক পদক্ষেপ।”
বিক্ষোভে উপস্থিত “মেডিকস ফর গাজা” সংগঠনের সদস্য ও চিকিৎসক ফ্রানচেস্কা পেরি বলেন, “যখন একটি জাতিকে অনাহারে রাখা হয়, তাদের ঘিরে ফেলা হয় এবং চিকিৎসাসেবা না দিয়ে বরং হাসপাতাল ধ্বংস করা হয় – তখন সেটি শুধুই যুদ্ধ নয়, বর্বরতা।”
তিনি আরও জানান, “গাজায় ৩৬টি হাসপাতাল ছিল, এখন মাত্র ৪টি কার্যকর আছে। ওখানে ওষুধ নেই, ব্যান্ডেজ নেই – এমনকি এনেস্থেশিয়াও নেই। আমাদের সহকর্মীরা রোগীদের অজ্ঞান না করেই অঙ্গচ্ছেদ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য এক অসহনীয় কষ্ট।”
বিক্ষোভ চলাকালেই বুধবার ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হামলায় অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও এক সপ্তাহ বয়সী একটি শিশু রয়েছে।
ইসরায়েল মঙ্গলবার থেকে গাজায় সাহায্যবাহী কিছু ট্রাক প্রবেশ করতে দিলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই সাহায্য কার্যক্রমে ইসরায়েলের নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া “দীর্ঘ, জটিল ও বিপজ্জনক” হওয়ায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে মানবিক সংকট আরও প্রকট হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
সূত্র: https://short-link.me/ZSZZ
মিরাজ খান