
ছবিঃ সংগৃহীত
ছয় বছর বয়সী ইসমাইল আবু ওদেহ আজও ভিড় ঠেলে খাবারের আশায় গিয়েছিল গাজা শহরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। কিন্তু ভাগ্য এবারও সহায় হয়নি। কেউই কিছু পেল না। দিনের শেষে ইসমাইল ফিরেছে কাঁদতে কাঁদতে—খালি হাতে।
বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ইসমাইলের মা জানান, গতকালও একইভাবে খাবারের জন্য ইসমাইল গিয়েছিল। কিন্তু যখন সে ফিরে আসছিল, ভিড়ের ধাক্কায় তার খাবারের বাটি উলটে পড়ে যায় মাথার উপরেই। ফলে সে ফিরে আসে হতাশ হয়ে—না খেয়েই।
পরে ইসমাইলের এক চাচা তাকে কিছু ডাল দিয়ে খেতে দেন, কিন্তু সেই ডাল ছিল এতটাই অল্প যে তার বড় ভাইবোন কিংবা বাবা-মার ভাগে কিছুই জোটেনি। তারা গতকাল কিছুই খেতে পারেননি।
আজ আবার ছোট্ট ইসমাইল নতুন আশায় প্লাস্টিকের বোতল আর খাবারের বাটি হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিল, হয়তো আজ কিছু মিলবে—এই ভেবে। কিন্তু আজকেও গাজা শহরের এই শরণার্থী ক্যাম্পে কোনো ত্রাণ এসে পৌঁছায়নি।
ফলে দিনের শেষে আবারও ক্ষুধার্ত চোখে ও কান্নাভেজা মুখে ফিরতে হয়েছে ইসমাইলকে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার গাজায় সীমিত। ফলে বিবিসি’র মতো গণমাধ্যমগুলো মূলত ফোন কল, বার্তা ও গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সহায়তায় তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে।
সূত্রঃ বিবিসি
ইমরান