
ছবিঃ সংগৃহীত
গত কয়েক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভারতের ভেতরে বিদ্রোহ এবং ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ এই অস্থিরতার মূল উপাদান। এই অঞ্চলের মধ্যে ভারতের অবস্থান সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কারণ ভারতের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে বিশেষ করে বিশাল পরাশক্তি চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায়।
চীন দীর্ঘদিন ধরে অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ দাবি করে আসছে এবং সাম্প্রতিক দিনে অরুণাচলের ২৭টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে অর্থহীন ও হাস্যকর বলে বর্ণনা করলে চীনের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি এসেছে যে অরুণাচল চীনের স্বত্বাধিকারের অংশ। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের পেছনে চীনের ভূমিকা স্পষ্ট হয়েছে, যেখানে চীনের সহায়তায় পাকিস্তান ভারতের রাফাল বিমান ধ্বংস করেছে।
এই যুদ্ধের পর ভারতে মোদি বিরোধী গণআন্দোলন শুরু হয় যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনিক দমন-পীড়ন এবং গুলিবর্ষণ সহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে। এছাড়া ভারতের বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য সংকোচনের ফলে কলকাতার ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যা বিস্তৃত জনমানসে আলস্য ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষ, এবং ভারত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের নির্যাতন ও অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ উঠেছে। ভারতের মুসলিম নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশি নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ভারতের এই বহুমুখী সংকট নিয়ে বাঙালি সমাজ ও বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ উদ্বিগ্ন এবং বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ভারত ভূ-রাজনৈতিক চাপ, অভ্যন্তরীণ ক্রমবর্ধমান বিরোধ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।
ইমরান