
ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তানের পক্ষ নেয়ায় ভারতীয়দের মধ্যে তুরস্ক ও আজারবাইজানকে বয়কটের ডাক উঠেছে। ভারতীয় পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় এই দুই দেশ অন্যতম হলেও বর্তমানে দেশগুলোর প্রতি ভারতীয়দের আগ্রহ কমে গেছে। বিশেষ করে, ভারতের অনলাইন ট্রাভেল কোম্পানিগুলোতে তুরস্ক ও আজারবাইজানের ফ্লাইট বুকিং বাতিলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
২০২৪ সালে প্রায় ৬ লাখ ভারতীয় তুরস্ক ও আজারবাইজান সফর করেছেন। তুরস্কের পর্যটন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৩ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন। অন্যদিকে, গত বছর আজারবাইজানে গিয়েছিলেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ভারতীয় নাগরিক। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় তুরস্ক এবং আজারবাইজানে ভ্রমণের জন্য নতুন বুকিং এবং আগের বুকিং বাতিলের প্রবণতা বাড়ছে।
ভারতের জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল সাইটগুলোতে, বিশেষ করে মেক মাই ট্রিপে, এক সপ্তাহের মধ্যে তুরস্ক ও আজারবাইজান ফ্লাইটের বুকিং ৬০ শতাংশ কমে গেছে এবং বুকিং বাতিলের হার বেড়ে ২৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। ইজ মাই ট্রিপসহ অন্যান্য ট্রাভেল সাইটেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এছাড়া, তুরস্ক ভ্রমণের মৌসুম মে, জুন এবং জুলাইয়ে, যখন ভারতীয়দের ভ্রমণের জন্য প্রচুর বুকিং ছিল, এখন তার ৮০ শতাংশই বাতিল হয়ে গেছে। এক অনলাইন ট্রাভেল সাইটের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তারা তাদের সাইটে তুরস্ক এবং আজারবাইজান ভ্রমণের প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং তাদের গ্রাহকদের ওই দেশগুলো ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এই বিষয়ে ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে #বয়কট তুর্কি এবং #বয়কট আজারবাইজান হ্যাশট্যাগ এখন ট্রেন্ডিং।
তুরস্কের অর্থনীতিতে পর্যটন খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। তুরস্কে গিয়েও ভারতীয়রা গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ ডলার খরচ করে থাকে।
এদিকে, ভারতীয়রা এখন চীনের পণ্য এবং ওয়েবসাইটগুলোকেও বয়কটের ডাক দিচ্ছেন, যা দেশের বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
মারিয়া