
প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বসবাসরত প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)। ইসরাইলের অব্যাহত অবরোধের মুখে ত্রাণ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা ঢুকতে না পারার কারণে সেখানকার বাসিন্দারা চরম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার সফরের আগে ইসরাইলের সাবেক ৫৫০ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে একটি গ্রুপ তাকে চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে তারা ট্রাম্পের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন তার এই সফরের মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখ-ে ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় একশ’। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৬০ ছাড়িয়ে গেছে। এদিন গাজার নাসের হাসপাতালে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলায় এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি গত মাসে ইসরাইলের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি মূলত জাতিসংঘ, দাতা সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি সংস্থা। যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল একটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে কি না সেটার প্রাথমিক মূল্যায়ন করে থাকে। মঙ্গলবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকেই গাজার খাদ্য পরিস্থিতিতে বড় ধরনের অবনতি ঘটেছে।
বর্তমানে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, ইসরাইল এবং হামাসের দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে গাজায় সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে নতুন করে যে বৈরিতা দেখা যাচ্ছে সেটা গাজাবাসীকে পুনরায় উদ্বিগ্ন করে তুলছে। বিশেষ করে গত মার্চের শুরু থেকে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের অব্যাহত বাধা পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলেছে।