
রিয়াদে সৌদি যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছান তিনি। গাজা যুদ্ধ বা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নয় বরং মার্কিন অর্থনীতির জন্য বড় অঙ্কের নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করাই তার এবারের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মূল উদ্দেশ্য।
টেসলা সিইও এবং ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্কসহ প্রভাবশালী মার্কিন ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি প্রথমে রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে অংশ নেবেন। এরপর বুধবার কাতার এবং বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। তবে তিনি ইসরাইল সফর করছেন না। খবর সিএনএনের।
ট্রাম্পের এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একসঙ্গে একাধিক ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে জানুয়ারিতে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার বছরে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ১ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দাবি করবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে সফর করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। রয়টার্সকে এক সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প সৌদি আরবকে ১০০ বিলিয়নের বেশি মূল্যের একটি অস্ত্র প্যাকেজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ট্রাম্পের কাতার ও ইউএই সফরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বেও মূলত অর্থনৈতিক বিষয়েই আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতারের রাজপরিবার ট্রাম্পকে একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ উপহার দিতে পারে। যেটি এয়ার ফোর্স ওয়ান বা প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য সাজানো হবে। বিষয়টি অবশ্য ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তুলেছে। ট্রাম্প এই বিমানটি তার প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরির জন্য দান করবেন বলে জানা গেছে, যা তিনি দায়িত্ব শেষে ব্যবহার করবেন।