
ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিককালের এই সংঘাতে নানাভাবে পরাজিত হয়েছে ভারত। নীতিগত অবস্থান থেকেও ধরা খেয়েছে রীতিমতো।
কোন কোন অবস্থান থেকে একদম ছিটকে পড়লো ভারত?
ইউসূফ নজরের “শক্তি দেখাতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী ভারতকে দুর্বল করে দিয়েছে” শিরোনামের লেখায় উঠে এসেছে নরেন্দ্র মোদী ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর সাফল্য নিয়ে দেয়া ভাষণে প্রকাশ করেননি যে ভারতের সামরিক শক্তি কতখানি ক্ষয় হয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো ব্যাপকভাবে বলছে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমানসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো কিন্তু ভারত প্রকাশ করছে না। তারা অল্প কিছু তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু মোটাদাগে তেমন প্রকাশ করছে না। কারণ নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনার পরে চাপে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যুদ্ধবিরতির ঘোষণাতেই দুর্বলতা। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিচ্ছে। এই ঘোষণা যদি নরেন্দ্র মোদী করতেন, তাহলে এই গোটা অঞ্চলে তার একটা আধিপত্য তৈরি হতো। কিন্তু তিনি এই গোটা নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর। এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করছেন এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হলো৷ এই ব্যাপারটা ছেড়ে দেয়া হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ শক্তিধর দেশগুলোর উপর।
ভারত কখনোই কাশ্মীর ইস্যুটাকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করতে চায় না। পাকিস্তান যেখানে বারবার বলছে যে এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু, এবং আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা করে সমাধান হওয়া দরকার। সেখানে ভারত কখনোই সেটা চায়নি। কিন্তু এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে বলেছেন তিনি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা করতে চান। এবং একটি সমাধানের সূত্র বের করতে চান। এখানেই পাকিস্তানের জয় হলো। কারণ তারা এটিই চেয়েছিল, যে কাশ্মীর ইস্যুটা যেহেতু দুই দেশ মিলে সমাধান করতে পারছে না। তাই আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা হোক। ফলে এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে গেলো৷ এদিকে ভারত রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষমতা নিয়ে বেশি মোহিত ছিলো, আর চীনের যুদ্ধিবিমানের সক্ষমতা বুঝতে ভুল করেছিল। অর্থাৎ ভারত মনে করেছিল রাফাল যুদ্ধবিমান আছে। সুতরাং এটা দিয়ে পাকিস্তানকে ধ্বংস করা যাবে। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি যে চীনের সি-১০ এর কার্যকারিতা কত ভয়ংকর। আর সেটা দিয়েই ভূপাতির হয়েছে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান।
মুমু