
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ডাকা কর্মসূচির ৭ম দিনে কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবনে না গিয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। পাঁচ দফা দাবিতে গত ৫ মে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। এদিকে, ৩৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বহিষ্কার ও শোকজ নোটিসের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে গিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, গেল ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দলের পক্ষপাতমূলক তদন্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এ ছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িতদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সকল প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে শিক্ষকরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষদের ওপর হামলা ঘটনায় জড়িত ৩৭ শিক্ষার্থীর কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছে কুয়েটের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। সংকট সমাধানে আলোচনা চলছে। অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে কারণ দর্শানোকে প্রহসন বলে দাবি করে করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য নতুন কমিটি করে পুনরায় তদন্তের জন্য জোর দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা। না হলে শিক্ষার্থীদের ওপর ঢালাও অভিযোগ তারা মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে আবার আন্দোলন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর এখনো শুরু হয়নি একাডেমিক কার্যক্রম।