
অবশেষে কলাপাড়া পৌরশহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র অবলম্বন একটি খাল রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। রবিবার এ খালের সাতটি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। আগামি ২৪ মে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের যৌথ উদ্যোগে চিঙ্গরিয়া এলাকার (জ¦ীন খাল) প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটির বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য অপসারন করা হবে। দুই পাড়ের বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি আগাছা পরিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে পরিমাপ করে খালের সীমানা নির্ধারণী পিলার স্থাপন করা হবে।
শহরবাসীসহ পরিবেশ কর্মীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলাপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. রবিউল ইসলামের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন সমাজ। একইভাবে দীর্ঘদিনের দাবি শব্দদূষণ রোধে ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা সম্পর্কিত মাইকিং শুধুমাত্র সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শোকসংবাদসহ জরুরি মাইকিং করা যাবে। খেলাধূলা, মেলা সমাবেশ, বিশেষ অফার সংক্রান্ত মাইকিং প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় করা যাবে। তবে কোন মাইকিং বিকট শব্দে করা যাবে না। একইভাবে পুরান হাসপাতাল থেকে মহিলা কলেজের সামনের সড়কের উল্টোদিকের পুরনো বিলীন হওয়া খালটি উদ্ধারে ওখানকার সকল স্থাপনার (চান্দিনা ভিটির) একসনা ডিসিআর নবায়ন প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন দরবার হল “পায়রায়” নাগরিক সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে এক সভায় এসব জনকল্যাণমূখী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইউএনও রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো: আব্দুল কাইউম, প্রেসক্লাবের আহবায়ক হুমায়ুন কবির, নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহ্বায়ক নাসির তালুকদার।
সাংস্কৃতিক সংগঠক মোস্তফা জামান সুজন বলেন, দীর্ঘদিনের কিছু প্রত্যাশা পূরণের আজকের যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে এটি কলাপাড়া পৌরবাসীর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমাদের সকলকে স্বদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, পৌরবাসী চাইলে এই শহরকে একটি ব্যাতিক্রম শহরে পরিণত করা সম্ভব। যেখানে নাগরিক সেবা বাড়বে। কমবে ভোগান্তি। দখল-দূষণমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সচেতন নাগরিকদের দলমত নির্বিশেষে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। শহরবাসীকে মনে করতে হবে এটি তার নিজস্ব শহর। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সকলের।
রাজু