ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

অসিম মুনিরের হাতে আরও শক্তিশালী হাতিয়ার, বিরোধীদের জন্য বিপদ সংকেত

প্রকাশিত: ২১:০১, ৯ মে ২০২৫

অসিম মুনিরের হাতে আরও শক্তিশালী হাতিয়ার, বিরোধীদের জন্য বিপদ সংকেত

ছবিঃ সংগৃহীত

পাকিস্তান যখন ভারতীয় অপারেশন সিন্ডুরের পাল্টা আক্রমণের পর বিপর্যয়ের মধ্যে, তখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে যা সেনাবাহিনী প্রধান অসিম মুনিরের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই রায় অনুযায়ী, এখন পাকিস্তানে সাধারণ নাগরিকদের সেনা আদালতে বিচার করা যাবে, যা সেনাবাহিনীকে বিরোধী মত দমন করার সুযোগ দিচ্ছে। মুনিরের জন্য এই রায় এসেছে এমন এক সময়ে, যখন তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে এবং দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রায়ের গুরুত্ব
৭ মে, ২০২৫ তারিখে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়, যেখানে পূর্বে ২০২৩ সালে দেওয়া রায়টি বাতিল করা হয়, যা সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকদের বিচার নিষিদ্ধ করেছিল। এখন থেকে সেনা আদালতে বিচার করা যাবে সেই সকল ব্যক্তিদের, যারা ২০২৩ সালের ৯ মে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল।

এই রায়ের ফলে, পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫২-এর কিছু ধারা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, যা গত বছর বাতিল হয়েছিল। এই নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর হাতে আরো শক্তি চলে এসেছে, যা তাকে বিক্ষোভ বা বিরোধী মত দমন করার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা দেবে।

ইমরান খানের দল ও বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) এই রায়কে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ, এই রায় সেনাবাহিনী প্রধান মুনিরকে বিরোধী শক্তি দমন করার একটি "অস্ত্র" প্রদান করেছে। PTI নেতা ওমর আয়ুব খান এই রায়ের প্রসঙ্গে বলেন, "এই রায় এমন এক সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত এবং শাসক দল শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে।"

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকট ও ভারতীয় উত্তেজনা
এদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির তার দেশে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। তবে, এই নতুন রায় তার হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দিয়েছে, বিশেষত ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে যখন উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার তরফে মুনির ভারতীয় শত্রুদের প্রতি কঠোর মন্তব্য করেছেন এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার ভাষায়, "কোনো ভারতীয় সেনা পদক্ষেপের ক্ষেত্রে পাকিস্তান দ্রুত এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাবে।"

এই সুপ্রিম কোর্টের রায় আসলে মুনিরকে এমন একটি শক্তিশালী অবস্থানে বসিয়েছে, যা তাকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং ভারতীয় উত্তেজনা মোকাবিলায় আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করবে।

 

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×