
ছবি: সংগৃহীত।
পর্তুগাল সরকার ঘোষণা দিয়েছে—দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ১৮,০০০ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এই সিদ্ধান্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মধ্যে, যারা গত কয়েক বছরে বৈধতার অপেক্ষায় দিন পার করছেন।
সরকারি এক ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অভিবাসীকে ২০ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের নোটিশ পাঠানো হবে। বাকিদের বিরুদ্ধেও আনুষ্ঠানিকভাবে দেশত্যাগের নির্দেশনা জারি করা হবে।
সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ ‘সেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেম (SIS)’ অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে। যেসব অভিবাসীর নাম ইতোমধ্যে সেনজেন এলার্টে আছে, অথচ তারা দেশত্যাগ না করে পর্তুগালে বৈধতার আবেদন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারণ, পর্তুগাল সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায় এই সতর্কবার্তা অমান্য করার সুযোগ নেই।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক অভিবাসন আইন সংস্কার করছে। অনেকেই মনে করছেন, ১৮ মে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই অভিবাসন প্রশ্নে “কঠোর অবস্থান” দেখাতে চায় সরকার। ফলে অতীতে যেমন দুই-তিন বছর পরপর অভিবাসীদের জন্য ছাড় দেওয়া হতো, এবার উল্টো পথে হাঁটছে প্রশাসন।
পর্তুগালে বসবাসরত একাধিক বাংলাদেশি অভিবাসী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অতীতে কিছু ভুল পদক্ষেপ ও অপেশাদার আন্দোলনের ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে।
“ভুলভাবে পাসপোর্ট জমা দেওয়া, অযথা বিক্ষোভ কিংবা সঠিক আইনজ্ঞান না থাকা—এসব কিছু মিলে এখন পুরো অভিবাসী কমিউনিটিকে হুমকির মুখে ফেলেছে,” বললেন লিসবনে বসবাসরত এক অভিবাসী।
অপরদিকে, সরকারপন্থী মহল থেকে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমে বারবার ‘অবৈধ অভিবাসী’ ইস্যুটি সামনে আসার কারণেই প্রশাসনের ওপর চাপ বেড়েছে।
বেশিরভাগ অভিবাসী এখন আইনি সহায়তার খোঁজে দৌড়াচ্ছেন। যারা নোটিশ পেয়েছেন বা পেতে পারেন, তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—আইনি পরামর্শ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ না নিতে এবং তাদের কাগজপত্র দ্রুত গুছিয়ে প্রস্তুত থাকতে।
নুসরাত