
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধান বিরোধীদল লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন ইতোমধ্যে পরাজয় স্বীকার করেছেন এবং আলবানিজকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারের কেন্দ্রে ছিল দেশটিতে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় ও গৃহনির্মাণ সংকট। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতিগুলোর প্রভাবও অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়েছিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর ইয়াহু নিউজ। গত ২২ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১.৮ কোটি নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৮৫ লাখ ভোটার আগাম ভোট প্রদান করেছেন। যা ২০২২ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে ভোট দেওয়া সবার জন্য বাধ্যতামূলক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্থির কূটনৈতিক নীতি ও জীবিকার ব্যয় মাথায় রেখেই শনিবার ভোট দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। ভোট গণনার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, আলবানিজ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখার দিকে এগিয়ে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে রেকর্ড ৮৫ লাখ ভোটার আগেই ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের অস্থির কূটনৈতিক নীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা অস্ট্রেলীয় ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েছে। নির্বাচনের প্রধান দুই দল প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি এবং বিরোধী পিটার ডাটনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট। নির্বাচনে দুই বড় দলই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া- সংক্রান্ত চাপের বিষয়টিকে তাদের প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছে। তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় সেটি দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার ভোটারদের কাছে নির্বাচনী প্রচারের প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে।
প্যানেল