ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

রিজার্ভ সেনা জড়ো করবে ইসরাইল

গাজায় হামলা জোরদারের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৩ মে ২০২৫; আপডেট: ২০:৪৩, ৩ মে ২০২৫

গাজায় হামলা জোরদারের পরিকল্পনা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরাইল। এর অংশ হিসেবে বড় আকারে রিজার্ভ সেনা জড়ো করবে তারা। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো। তারা বলেছে, সেনার সংখ্যা কমায় এবং গাজায় থাকা জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আলজাজিরার।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে আইডিএফ। শনিবারের হামলার পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫২ হাজার ৪১৮ জন এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। শনিবার নেতানিয়াহু তার নিরপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এতে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়ুথ আহরোনোথ। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত কয়েকদিনে একাধিক রিজার্ভ অফিসার তাদের ইউনিটকে হঠাৎ ডাকের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। জিম্মিদের মুক্তির অজুহাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর এবার ভিন্ন কথা বলছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি নয় যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা। হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির কথা বলে গত ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানও তোয়াক্কা করছেন না নেতানিয়াহু। তবে এতদিন পর এখন তার কণ্ঠে ভিন্ন সুর। গত বৃহস্পতিবার জেরুজালেমে স্বাধীনতা দিবস বাইবেল কনটেস্ট শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজা যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য জিম্মিদের মুক্তি নয় বরং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে পরাজিত করা। সম্প্রতি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ৫৯ জন জিম্মির তথ্য গোপন করে তাদের নিরাপদে ফেরানোর সম্ভাবনা ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা জিম্মিদের পরিবারগুলোকে ক্ষুব্ধ করে। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনেকেই নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা কোনোভাবেই কম গুরুত্বপূর্ণ না। বরং এটাই ইসরাইল সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এদিকে গাজাজুড়ে অব্যাহত আছে ইসরাইলি হামলা। উপত্যকায় ইসরাইলি অবরোধও অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ প্রবেশের আন্তর্জাতিক আহ্বানেও সাড়া দিচ্ছে না তেলআবিব। গাজা-মিসর সীমান্তে আটকে আছে প্রায় ৩ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক।

প্যানেল

×