
ছবিঃ সংগৃহীত
কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পিছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর হাত রয়েছে। এমন বিস্ফোরক দাবি করেছে পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যম। টেলিগ্রামে ফাঁস হওয়া গোপন নথির বরাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, হামলার পর ঘটনাটিকে অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে বলে প্রচার চালানোর সুস্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আরো বলা হয়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াতে ভুয়া আ্যকাউন্ট ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই নথিতে।
দুই দেশের এই টানটান উত্তেজনার মধ্যে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১ মে) এর ওই মহড়ায় সজোয়া যান ও অত্যাধুনিক রণ-সরঞ্জাম নিয়ে যুদ্ধ অনুশীলনে অংশ নেন পাকিস্তানের সেনারা। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলরত ভারতের ৪টি যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন জানায়, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তাড়া খেয়ে ওই যুদ্ধ বিমানগুলো পিছু হটতে বাধ্য হয়।
চলমান উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে ভারতকে হুশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মনির। তিনি জানান, ভারতের যে কোন সামরিক দুঃসাহসের জবাব শক্তভাবে দেওয়া হবে।
এদিকে কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, হামলার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে খুঁজে বের করা হবে এবং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে মধ্যে কঠোর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি বিমান চলাচলে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রিফাত