ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

গ্রিসে পোল্যান্ডের তরুণীকে অপহরণ ও হত্যা, বাংলাদেশি যুবককের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৯:৩৩, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্রিসে পোল্যান্ডের তরুণীকে অপহরণ ও হত্যা, বাংলাদেশি যুবককের কারাদণ্ড

নিহত পোল্যান্ডের নাগরিক আনাস্তাসিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পোল্যান্ডের নাগরিক আনাস্তাসিয়াকে (২৭) ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিনকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) ঘোষিত এই রায় গ্রিসের গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রিসের কস দ্বীপে সংঘটিত এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

পোল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম টিভিএন-২৪ গ্রিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলার কৌঁসুলি সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ আনেন। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে শুক্রবার আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

গ্রিক সংবাদমাধ্যম রোদিয়াকি জানিয়েছে, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তবে তাঁর আবেদন আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এদিকে নিহত পোলিশ নারীর বাবা পোলিশ গণমাধ্যম ভার্চুয়ালনা পোলাস্কাকে জানিয়েছেন, এই রায় এখনো চূড়ান্ত নয়।

মামলার ঘটনাপ্রবাহ থেকে জানা গেছে, এ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কারণ মামলার কাগজপত্রের কিছু অংশ ২ ডিসেম্বরেই বিবাদীপক্ষের হাতে পৌঁছায়। কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোনো একদিন তাঁর কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন। যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাঁকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তাঁর বাসায় যেতে দেখা যায়। এটিই ছিল আনাস্তাসিয়াকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা।

আনাস্তাসিয়া তাঁর প্রেমিককে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ তিনিই ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি।

এই মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, সালাহউদ্দিন ইতালিতে যাওয়ার জন্য একটি বিমানের টিকিট কিনেছিলেন এবং দ্বীপ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। 

ডেভিড আরও জানান, তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মোছা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়। 

গ্রেপ্তারের পর আসামি তাঁর অপরাধ অস্বীকার করেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আনাস্তাসিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

এসআর

×