অবশেষে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে কথা বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনের দুয়ার সব সময় আদর্শিক কূটনীতির জন্য উন্মুক্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি মিত্রদের শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
জেলেনস্কি বলেন, একটি স্পষ্ট বোঝাপাড়া ছাড়া কূটনৈতিক লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। শুধু অস্ত্র দিয়ে কাজ হবে না। এজন্য শক্তি প্রয়োগ ও কূটনৈতিক তৎপরতা একসঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতাকেই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি। এ সময় তিনি ন্যায্যভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর আহ্বান জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য সহযোগিতা চেয়ে জেলেনস্কি বলেন, আদর্শিক কূটনীতির জন্য ইউক্রেনের দুয়ার সব সময় খোলা। তবে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি অস্ত্র সরবরাহেরও আহ্বান জানান জেলেনস্কি। এদিকে বাইডেনের ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো নিয়ে মার্কিন প্রশাসন বড় ধরনের লজিস্টিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, মার্কিন এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এর জন্য অপেক্ষা করা অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া কঠিন ব্যাপার। মাত্র পাঁচ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় পালাবদল ঘটেছে। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে উজাড় করে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়েছেন। এখন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে কী সিদ্ধান্ত নেবেন তার ওপরে ইউক্রেন তো বটেই, পুরো বিশ্বই তাকিয়ে রয়েছে।
