.
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রবিবার বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলার মধ্যে শহরটিতে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এখনো পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা মোকাবিলায় সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন যে তার সামরিক বাহিনী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। খবর এএফপির।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র এবং সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা রবিবার ভোরে বলেছেন, রাশিয়া কিয়েভের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শহরের উপকণ্ঠে হামলা প্রতিহত করতে নিযুক্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো কাজ করছে, বিমান হামলার সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন যেগুলোকে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের হামলা প্রতিরোধের শব্দের মতো শোনাচ্ছিল। রাশিয়ার এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কেউ আহত হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের এই রাজধানী শহর রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া কিয়েভের পাশাপাশি শহরের আশপাশের অঞ্চল এবং সমস্ত পূর্ব ইউক্রেন রাশিয়ার বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে রয়েছে বলেও টেলিগ্রামে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
এদিকে গত শনিবার ইউক্রেনের হামলার মুখে সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চল থেকে ৭৬ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। চলতি সপ্তাহে কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে ইউক্রেন। এরপর দেশটির একাধিক স্থানে হামলা চালায় তারা। এর আগে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ব্যবহারের সক্ষমতা কমাতে রুশ বিমানঘাঁটিগুলোতে গত বৃহস্পতিবার হামলা করেছিল ইউক্রেন।
