ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

১৩ বছরে ৪০ কোটি শিশু ভয়াবহ শাস্তির শিকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ১১ জুন ২০২৪

১৩ বছরে ৪০ কোটি শিশু ভয়াবহ শাস্তির শিকার

১৩ বছরে ৪০ কোটি শিশু ভয়াবহ শাস্তির শিকার

২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে বিশ্বের ১০০টি দেশে ৪০ কোটি শিশু বাসগৃহে ভয়াবহ শারীরিক অথবা মানসিক শাস্তির শিকার হয়েছে। এসব শিশুর অধিকাংশের বয়স সর্বোচ্চ ৫ বছর। জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনিসেফ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এই ৪০ কোটি শিশুর মধ্যে একাধিকবার শারীরিক শাস্তি বা প্রহারের শিকার হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি শিশু, বাকিরা শিকার হয়েছে মানসিক শাস্তির। খবর এএফপির। 
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশের বয়স সর্বোচ্চ ৫ বছর। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের সঙ্গে ধমকের সুরে চিৎকার বা উচ্চস্বরে কথা বলা, তাদেরকে গালাগাল করা মানসিক শাস্তি প্রদানের শামিল। বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের প্রহার করা আইনত নিষিদ্ধ।

তবে ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ কোটি শিশু যে কোনো সময় প্রহারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এসব শিশুর মধ্যে এমন বহু দেশের শিশু রয়েছে, যেসব দেশে শিশুদের প্রহার বা শারীরিক শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ। শাস্তি প্রদানের নামে শিশু নির্যাতনের পক্ষে রায় রয়েছে অনেক অভিভাবকেরও।

মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিশ্বের প্রতি ৪ জন মায়ের একজন বিশ্বাস করেন, শিশুদের যথাযথভাবে শিক্ষিত ও সামাজিকভাবে দক্ষ করে তুলতে তাদের প্রহার বা শারীরিক শাস্তি দেওয়া জরুরি। তবে তাদের এই ধারণা একদমই সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যদি শিশুরা বাড়িতে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়, কিংবা অভিভাবকদের সামাজিক ও আবেগগত যতœ থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে তাদের মানসিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়, নিজের মূল্য সম্পর্কেও ভুল ধারণা গড়ে ওঠে।

×