.
ইসরাইলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে এবার পশ্চিমাদের আরেক শত্রু রাশিয়ার সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে ইরান। সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা উন্নয়নে মস্কো-তেহরান একসঙ্গে কাজ করছে বলে রবিবার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইল এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই ইরান-রাশিয়ার এই পদক্ষেপ। এমনকি আসন্ন দিনে পশ্চিমাবিরোধী অন্য দেশগুলোও সামরিক সম্পর্কোন্নয়নে আরও তৎপর হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। খবর আরটি, ইরনা ও এনডিটিভির।
তবে এমন জল্পনা অস্বীকার করে তেহরান দাবি করেছে, তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে বা আঞ্চলিক সংঘাতের বিরুদ্ধে কাজ করবে না এই মিত্ররা। বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতই তাদের মূল লক্ষ্য। ইরান-ইসরাইল সংঘাতের জেরে গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। পাল্টাপাল্টি হামলায় যে কোনো সময় যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃত অর্থেই যদি সংঘাত রণক্ষেত্রে গড়ায় তবে ইরানকে ইসরাইলের পাশাপাশি লড়তে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের বিরুদ্ধে। কেননা, ইহুদি রাষ্ট্রটিকে তাদের সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি অনেকটা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে মাঠে নামছে ইরান। এই তৎপরতার অংশ হিসেবে এবার রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে রাইসি প্রশাসন। সামরিক এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরালো করছে মস্কো-তেহরান। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্কও জোরদার করতে চায় ইরান। এদিকে ইসরাইলকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য জন্য মার্কিন কংগ্রেসে বহুল আলোচিত বিল পাস হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার ভোটাভুটির পর এসব বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়েছে ২ হাজার ৬৩৮ কোটি ডলারের বিল। বিলটি দ্রুত বাস্তবায়নে সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বিলের আওতায় ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো ও মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে বাইডেন প্রশাসন। বিলটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সিনেটের অনুমোদন। আর তাই দ্রুত বিল পাস করতে সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ইসরাইল ও ইউক্রেনের পাশে তাদের অবস্থান কতটা দৃঢ়। এদিকে গাজায় থেমে নেই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডব। আগ্রাসন গড়িয়েছে ১৯৮তম দিনে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার। উপত্যকাটিতে হামলা চালানোর পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে তেল আবিব।