
ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে
চাঁদের মাটিতে ভোর হয়েছে। আলো পড়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে। রোদ পড়ায় তাপমাত্রাও বেড়েছে। হাড়হিম করা ঠান্ডা ধীরে ধীরে কমছে। এবার চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম-প্রজ্ঞানকে জাগানোর পালা। পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে অ্যালার্ম বাজাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। কিন্তু ঘুম ভাঙার কোনো লক্ষণই নেই ল্যান্ডার-বিক্রমের।
ইসরো জানিয়েছে, কিছু কারণের জন্য বিক্রম-প্রজ্ঞানকে জাগানোর প্রক্রিয়া আরও একটু দেরি হবে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ঘুম ভাঙবে বিক্রমের। প্রায় ১৬ দিন আগে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম-প্রজ্ঞানকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠায় ইসরো। সেই সময় সূর্য ডুবতে শুরু করেছিল। পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন তথা এক চান্দ্রদিন হিসেবে কাজ করেছে চন্দ্রযান-৩। ২ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞানকে স্লিপ মোডে পাঠানো হয়। ৪ সেপ্টেম্বর স্লিপ মোডে পাঠানো হয় ল্যান্ডার বিক্রমকে। ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তাদের ফের জাগানোর চেষ্টা হয়।
ল্যান্ডার বিক্রমকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানোর আগে এটির রিসিভারকে চালু রেখেছিল ইসরো। চাঁদে রাত কাটলে আবার যাতে এটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তবে ল্যান্ডার-রোভারের ঘুম ভাঙলেও তারা আগের মতো সক্রিয় হয়ে উঠবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। ইসরো বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিক্রম-প্রজ্ঞানের মৃত্যু হবে না। সূর্যালোকে ফের তাদের স্লিপ মোড থেকে সক্রিয় করা যাবে। এখানেই ইসরোর বড় সাফল্য। -এনডিটিভি অবলম্বনে